বিয়ের প্রথম রাতে বর, কনে একা থাকবে না ঘরে। তাঁদের সঙ্গে থাকবে নববধূর মাও। কী চমকে উঠলেন তো? স্বাভাবিক। কিন্তু এই বিপুলা পৃথিবীর কতটুকু জানেন আপনি? বা আমি? বিয়ে ঘিরে পৃথিবী জুড়ে কত নিয়ম রয়েছে। কত অদ্ভুত নিয়ম পালন করা হয় আজও জানলে সত্যি চমকে উঠতে হয়। কিন্তু যে নিয়মটার কথা বললাম নিশ্চয় ভাবছেন সেটা কোথায় পালন করা হয়? এটা আফ্রিকায় পালন করা হয়ে থাকে।
আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে এই বিচিত্র রীতি চালু আছে। আফ্রিকা বলে নয়, পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তেই বিয়ে ঘিরে রয়েছে অদ্ভুত লোকাচার। আফ্রিকার এই নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের প্রথম রাতে মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে থাকবে কনের মা। কেন থাকবেন ভাবছেন? কারণ এদিন তিনি তাঁর মেয়ে জামাইকে বিয়ে এবং দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানান পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি কনের মা না থাকেন, মারা যান তাহলে তাঁর বদলে মেয়ের পরিবারের যে কোনও বয়স্কা মহিলা এই রীতি পালন করতে পারেন। এই রাত্রিবাস যদি ঠিক হয় পরদিন এই মহিলা জানাবেন যে নবদম্পতির এই নতুন জীবন কতটা সুখকর হতে চলেছে।
শুধু আফ্রিকা নয়, দক্ষিণ এশিয়ার বোর্নিয়োতে রয়েছে বেশ কিছু অদ্ভুত আচার। এর অন্যতম হল, বিয়ের পর তিনদিন মলত্যাগ করতে দেওয়া হয় না নবদম্পতিকে। এই নিয়মানুসারে যাঁরা এই তিনদিন মলত্যাগ না করে থাকেন মনে করা হয় তাঁদের বিয়ে বেশিদিন টেকে। টিডং জনজাতির মানুষ এই নিয়ম পালন করে থাকেন।
অন্যদিকে চিনের টুজিয়ান জনজাতির কনেকে বিয়ের একমাস আগে থেকে কাঁদতে হয়। বিয়ের ফুল ফুটলে, এক মাস আগে থেকে এক ঘণ্টা করে কাঁদতে তাঁকে হবেই। কেন? তা জানা নেই অবশ্য!