সারা ভারতেই ইদানীংকালে বাড়ছে ডায়াবিটিসের সমস্যা। শুধু চল্লিশ বছরের বেশি বয়সী লোকের নয়, কমবয়সীদের মধ্য়েও এই রোগ দেখা দিচ্ছে। সারা বিশ্ব জুড়েই কমবয়সীদের এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। ভারতে বর্তমানে ৭৭ মিলিয়ন লোক ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। ২০৪৫ সালের শেষে এই সংখ্যা ১৩৪ মিলিয়নের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, আধুনিক জীবনযাত্রা এর জন্য মূলত দায়ী। শারীরিক সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় ও অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের কারণে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
ডায়াবিটিস হলে ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ, খিদে পাওয়া, তেষ্টা পাওয়া, ওজন কমে যাওয়া ছাড়াও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
এসথেটিক ক্লিনিকের কসমেটিক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ রিঙ্কি কাপুরের কথায়, ডায়াবিটিস হলে ত্বকের বেশ কিছু সমস্য়া দেখা দিতে পারে। তেমনই কয়েকটি সমস্যার কথা জানালেন ডাঃ কাপুর।
১. ত্বক লাল হয়ে ফুলে যাওয়া: এটি মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য হয়। ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে স্টাফ সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় । ফলিকুলিটিস, বয়েলস, কার্বাঙ্কলস ও নখের সংক্রমণও এই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ।
২. র্যাশ ও ছত্রাক সংক্রমণ: ইস্ট প্রজাতির ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে এই ধরনের চর্মরোগ দেখা যায়। স্তনের ভাঁজ ও নখে ক্যানডিডা অ্যানবিকান হল নামের ছত্রাকটির সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে এই সংক্রমণ হতে পারে।
৩. চুলকানি: ডায়াবিটিসের সমস্যায় অন্যতম চর্মরোগ হল চুলকানির সমস্যা। শুকনো ত্বক ও অন্য সংক্রমণ থাকলে এই সমস্যা আরও বাড়ে। পায়ের নিচের অংশে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
৪. কালো ও ট্যানড ত্বক: এই সমস্যাকে বলা হয় অ্যাকানথিসিস নিগ্রিকানস। এর ফলে ত্বকের রঙ কালো বা বেগুনি হয়ে যায়। গলা, বগল, হাত ও কনুইয়ে এই সমস্যা দেখা দেয়।
৫. হালকা থেকে গাঢ় রঙের দাগ: পায়ের নিচের দিকে এমন দাগ দেখা যায়।
৬. সোরিয়াসিস: টাইপ-২ ডায়াবিটিসের রোগীদের মধ্যে ত্বকের এই সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
৭. স্ক্লেরোডার্মা ডাইব্যাকটেরিয়াম: শরীরের উপরিভাগে এই সমস্যা দেখা যায়। এতে ত্বকের উপরের স্তর স্থুল হয়ে যায়।
৮. নেক্রোবায়োসিস লিপোইডিকা ডাইব্যাকটেরিয়াম: এই সমস্যায় ত্বকে চুলকানি ও ব্যথা হয়।
৯. ডায়বেটিক আলসার: রক্তে অতিরিক্ত শর্করার থেকে স্নায়ুর ক্ষতি হয়। এর ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়। শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরের কোনও অংশের ক্ষত সহজে শুকায় না। এই উন্মুক্ত ক্ষতগুলোকে ডায়বেটিক আলসার বলা হয়।