1/9 প্যান্ডেলের সামনে লম্বা দর্শনার্থীর লাইন, রাস্তা জুড়ে ট্রাফিক, পুজোর চেনা ভিড়, এসব শহুরে ছবি থেকে পুজোর কয়েকটা দিন যদি দূরে কোনও শান্ত এলাকায় দুর্গাপুজো দেখতে চান, তাহলে কিছু জায়গার হদিশ দেওয়া যায়।
3/9 গোবরডাঙ্গা রাজবাড়ি- ৩১১ বছরের পুরনো গোবরডাঙা রাজবাড়ির পুজো। কলকাতার অদূরেই এই পুজোয় থাকে নিষ্ঠা ও ঐতিহ্যের মিশেল। পুজোয় আতিশয্য নেই, রয়েছে উমাকে বরণ করে নেওয়ার এক ঘরোয়া ছবি। নিয়ম মেনে এই জমিদার বাড়িতে আকাশের তারা দেখে প্রতিমা বিসর্জন হয়। রোনাভাইরাসের ধাক্কার গত ২ বছর মূর্তিপুজো বন্ধ ছিল। পরিবর্তে প্রসন্নময়ী কালী মন্দিরে ঘটপুজোর মাধ্যমে দুর্গাপুজো হয়েছিল। এবার ফের মূর্তি পুজো হতে চলেছে।
4/9 রাজাহেঁসলা রাজবাড়ির পুজো- কলকাতা থেকে অনেকটাই দূর পুরুলিয়ার ঝালদার রাজাহেঁসলা রাজবাড়ি। ১২০০ বছর আগে এখানে পুজোর শুরু হয়। দুর্গম জঙ্গল, পাহাড়ে ঠাসা এই এলাকা। এখানে পুরুলিয়ার প্রাচীন সংস্কৃতি ছৌ নাচের মুখোশকে অনুসরণ করে দেবী দুর্গার মূর্তি পুজো শুরু হয়। পাহাড়ী ঝর্ণা হেঁসলা নদী থেকে ঘটা করে ঢাক বাদ্যের সঙ্গে বন্দুকের গুলির শব্দে এখানে দুর্গাপুজোর ঘট আনার রীতি ছিল। পুরনো বহু নিয়ম আজও পালিত হয় এই রাজবাড়িতে।
7/9 নদিয়ার জজবাড়ির পুজো- নদিয়ার শান্তিপুরের তর্কবাগীশ লেনে জজবাড়ির পুজোর ইতিহাসও বেশ চমকপ্রদ। এই পুজোয় এককালে ১০৮ টা মোষ বলি ও ২৮ টি পাঁঠা বলি হত । ব্রিটিশ আমলে এই পুজো আলাদা মাত্রা পায়। পরবর্তীকালে তার পরিবর্তে কুমড়ো বলি হয়। বাড়িতে ভোগে থাকে ইলিশ মাছ, কচুর শাক।
8/9 দশঘরার বিশ্বাস বাড়ির পুজো- এককালে দেবীকে এই বাড়িতে ৪০ ভরি গয়নায় সাজানো হত বলে শোনা যায়। এছাড়াও একটা সময় পর্যন্ত ১০৮ টি করে মোট ৩২৪ টি প্রদীপে সাজানো হত এই বাড়ির ঠাকুর দালান। তবে আজ সমস্তরই পুরোন কথা। হুগলির দশঘরার বিশ্বাসবাড়ির পুজো ঘিরে রয়েছে বহু চমকপ্রদ তথ্য। এই বাড়িতেও দুর্গাপুজোর আড়ম্বর নজর কাড়ার মতো।
9/9 পটেশ্বরী দুর্গা-বর্ধমানের ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো এই পুজোর সূচনা করেছিলেন মহারাজ মহাতাব চাঁদ। তারপর থেকে এই পুজো পটেশ্বরী দুর্গাপুজো নামে খ্যাত। এখানে মূর্তি নয়, পটে আঁকা দুর্গাকে পুজো করা হয়।