বর্তমান সময়ে চুল পড়ার সমস্যা ছেলে মেয়ে সবার ক্ষেত্রেই দেখা যায়। মূলত দূষণের কারণে এই সমস্যার আরও বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। শহরের বায়ুর সঙ্গে মিশে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মাথার ত্বকের ক্ষতি করে । এর ফলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। তবে, শুধু দূষণের কারণেই এমনটা হয় তা নয়। সারাদিনের কাজের স্ট্রেস ও জীবনযাত্রাও এর জন্য দায়ী।
অত্যাধিক স্ট্রেসের ফলে ক্ষরিত হয় স্ট্রেস হরমোন। এই হরমোনই চুলের ক্ষতি করে। হরমোনটি মস্তিষ্কের স্টেম কোষের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। এই ফলে চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
কিছু নির্দিষ্ট খাবার যেমন চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তেমনই কিছু খাবার ক্ষতি করতে পারে চুলের। দীর্ঘদিন সে খাবারগুলো খাওয়ার ফলে চুল উঠে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের খাবার ঝোঁকের বশে বা অজান্তেই আমাদের ডায়েটে ঢুকে পড়ে। এই খাবারগুলো এড়িয়ে চললে চুল পড়া অনেকটাই কমে যেতে পারে।
১. সফ্ট ড্রিঙ্কস: রোজকার মূল খাবারের মধ্যে না থাকলেও সফ্ট ড্রিঙ্কস প্রায়ই ঢুকে পড়ে ডায়েটে। ঘরোয়া অনুষ্ঠান বা বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি সফ্ট ড্রিঙ্কস না হলে চলে না। এই ধরনের ড্রিঙ্কসে অ্যাসপারটাম নামের এক কৃত্রিম মিষ্টিকারক পদার্থ থাকে। চুল পড়ার সমস্যা থাকলে এই ড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলা উচিত।
২. চিনি: ডায়াবিটিসের রোগী না হলে রোজকার ডায়েটে চিনি খুব সাধারণ খাবার। অনেকেই জানেন না, চুল পড়ার জন্য অন্যতম দায়ী খাবার হল চিনি। অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি প্রতিদিনের ডায়েটে থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত শর্করা ক্ষতি করে চুলের ফলিকলের । চুলের ফলিকলের ক্ষতি হওয়ায় চুল উঠে যাওয়ার হারও বাড়তে থাকে।
৩. সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছ যেমন ম্যাকারেল, হাঙ্গর ও কিছু প্রজাতির টুনা মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি-এর উৎস। তবে, একইসঙ্গে এই মাছগুলোতে থাকে উচ্চমাত্রায় পারদ। এই পারদ চুল পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে। তাই এই ধরনের মাছ ডায়েটে না রাখাই ভালো।
৪. মশলাদার ও চটজলদি খাবার: বেশিরভাগ মশলাদার ও চটজলদি খাবারে থাকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট। মনোস্যাচুরেটেড ও স্যাচুরেটেড গোত্রের এই ফ্য়াট মাথার ত্বকে ফ্যাট জমতে সাহায্য করে। এর ফলে চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
৫. দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুগ্ধজাত দ্রব্যে থাকা কিছু নির্দিষ্ট ফ্যাট শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর থেকে চুলের ক্ষতি হয়।