মুখে গন্ধ ছাড়ছে বলে কেউ কখনও বলেছেন? যদি কেউ বলে থাকেন, তা নিশ্চয়ই আপনার জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই অস্বস্তি এড়ানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে - নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করা। ভাগ্যবশত, জিভে 'ক্যাভিটি' হতে সময় লাগে। তবে সেজন্য জিভকে অবহেলা করলে চলবে না। নিঃসন্দেহে মুখে দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ হল অপরিষ্কার জিভ।
খাবারের বাড়তি অংশ, মৃত কোষ এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে কাছে ঘেঁষতে দিতে না চাইলে নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার করলে মুখে দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসের মতো উপাদান জিভে থাকে না। তবে জিভ পরিষ্কার রাখা যে শুধু মুখের পক্ষে ভালো, তা মোটেও নয়। বরং তার ফলে সার্বিকভাবে আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। জানুন সেরকমই পাঁচটি বিষয় –
১) খাবারের ভালো স্বাদ পাবেন
দিনে দু'বার জিভ পরিষ্কার করলে খাবারের ভালো স্বাদ পাবেন। জিভ পরিষ্কারের ফলে মৃত কোষ এবং অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় উপাদান সাফ হয়ে যায়। তার ফলে মিষ্টি, তেঁতো, টকের স্বাদ আরও ভালোভাবে পাবেন।
২) ব্যাকটেরিয়া খতম
জিভ পরিষ্কারের ফলে মুখের ভিতর যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকে, তা খতম হয়ে যায়। তার ফলে দাঁতের সমস্যা কম হয়। মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছাড়ে না।
৩) ভালো হজম
সহজ মুখ থেকেই শুরু হয় খাবার হজমের প্রক্রিয়া। স্যালাইভায় যে এনজাইমগুলি থাকে, তা খাবারকে ভেঙে দিয়ে পাচন প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করলে প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলি সক্রিয় থাকে।
৪) অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সক্রিয় রাখা
রাতভর আপনার মুখের মধ্যে যে ক্ষতিকারক পদার্থ জমা হয়, তা সকালে উঠেই পরিষ্কার করতে হয়। সেটা করলে আপনার অভ্যন্তরীণ অঙ্গ সক্রিয় হয়ে ওঠে। সকালে ঘুম থেকে উঠে চাঙ্গা লাগে।
৫) রোগ প্রতিরোধকারী শক্তি
বৃদ্ধি নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করলে আপনার মুখে ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় উপাদান জমে যায় না। মুখ ভালো থাকে। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধকারী শক্তির পক্ষে ভালো। মুখে যখন ক্ষতিকারণ ব্যাকেটেরিয়া এবং ক্ষতিকারক উপাদান থাকে, তখন সেদিকে সারাক্ষণ নজর দিতে হয় শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী শক্তিকে। সেই পরিস্থিতিতে আপনিই যদি নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করে নেন, তাহলে রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা বাড়ে। ফুটবলের ভাষায় বলা যায় যে জিভ আপনার রক্ষণের (শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা) প্রথম ধাপ।