বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > দুপুরের ভাতঘুমে সমস্ত কাজ পণ্ড, দেখুন তো এভাবে এটিকে তাড়াতে পারেন কি না!

দুপুরের ভাতঘুমে সমস্ত কাজ পণ্ড, দেখুন তো এভাবে এটিকে তাড়াতে পারেন কি না!

দুপুরের ঘুম কী করে তাড়াবেন?

দুপুরের ভাতঘুম যদি এসে জ্বালিয়ে খায়, তাহলে তো বড়ই মুশকিল। তবে মনে রাখবেন, আপনি একা নন। আপনার মতো অনেকেই জেরবার এই সমস্যায়।

রবিবারের ছুটির দুপুরে জম্পেশ খাওয়া দাওয়ার পর ভাতঘুমের মজাই আলাদা। কিন্তু, এই ভাতঘুমটাই যদি কাজের দিনগুলোয় আপনার প্রাণ ওষ্ঠাগত করে দেয়! দুপুরে খাওয়ার পরেই বন্ধ হয়ে আসছে চোখ। হাজারও চেষ্টার পরেও পারছেন না জেগে থাকতে। এই অবস্থায় কী করবেন। বড় সমস্যার ব্যাপার কিন্তু। বর্তমানের এই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বাজারে অনেকেই দুপুরে লাঞ্চ টাইমে ভাত খাচ্ছেল। পাশাপাশি, অনেকের আবার অফিসের লাঞ্চেও ভাত নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে। এসব ক্ষেত্রে দুপুরের ঘুম কী করে তাড়াবেন?

ভাতঘুম কোন পায়?

পুষ্টিবিদেরা কিন্তু এই দুপুরের ‘ভাতঘুম’-এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমরা মোটামুটি সকলেই জানি, মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন নামে মস্তিষ্ক থেকে নিঃসৃত হরমোনের কারণেই আমাদের ঘুম পায়। দুপুরে শর্করা বেশি খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায়। তখন শরীর ঘুমের সহায়ক হরমোনগুলিকে তৈরি করে। ঘুম পাওয়ার এটা একটা বড় কারণ। ভাত কিন্তু শর্করার একটি বড় সোর্স বা উৎস। 

শর্করা না খেয়ে আপনি যদি প্রোটিন বেশি খান, তাতেও মুক্তি মিলবে না। প্রোটিন হজমের জন্য পাকস্থলীকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এর ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। আর ঘুম পায়। 

কীভাবে তাড়াবেন এই ভাতঘুম?

 ভাতঘুম তাড়ানোর সবচেয়ে বড় উপায় হল দুপুরে একেবারে অনেকটা ভারি খাবার না খেয়ে, সেটিকে ছোট ছোট কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া। ব্রেকফাস্টের পর সোজাসুজি লাঞ্চ না করে মিড মর্নিং স্ন্যাক্স হিসেবে আপনি কিছু খাবার রাখতে পারেন। এতে পেট ভরা থাকবে। দুপুরেও একটু কম খেলে সমস্যা হবে না। মিড মর্নিং স্ন্যাক্সে রাখুন ড্রাই ফ্রুটস, যে কোনও ধরনের গোটা ফল, চিড়ে, স্যুপের মতো খাবার। 

অনেকেই ঘুম তাড়াতে দুপুরে খাওয়ার পর খান কড়া চা কফি। কেউ আবার ধুমপান করেন। এই দুটো স্বভাবই কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। খাবার পর চায়ে থাকা ক্যাফিন খাবার হজম করতে সমস্যা তৈরি করে। আর ধুমপানের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। 

বরং, দুপুরে খাবার পর শুয়ে না পড়ে অথবা সাথে সাথে কাজে না বসে ঘরের ভিতরে বা অফিসে একটু হাঁটাচলা করুন। অফিসে থাকলে সহকর্মীদের সঙ্গে একটু আড্ডা দিন। বাড়িতে থাকলে রক বা জ্যাজ মিউজিক শুনুন। খেয়াল করে দেখবেন, ভাতঘুম সাময়িক। একবার চলে গেলে আর এটি আপনাকে বিরক্ত করতে আসছে না। সঙ্গে চোখে-মুখে জলের ঝাপটা দিতে পারেন। এতে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার যে ক্লান্তি, সেটাও কেটে যাবে। 

বন্ধ করুন