1/6 ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে বলছে দেশে মোট 'ফার্টিলিটি' হার হল ২০১৫-১৬ সালে যেখানে ২.২ ছিল তা কমে বর্তমানে ২.০ হয়েছে ২০১৯-২১ সালে। ফলে ক্রমাগত দেখা যাচ্ছে প্রজননের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যার ক্ষেত্রে দেশের বড় শহরগুলিতে বন্ধ্যত্বের সমস্যার হার বাড়ছে খুব কম বয়সী দম্পতিদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠছে, এর নেপথ্যে কি রয়েছে বেশি বয়সে বিয়ে করার মতো কারণ নাকি জীবনধারাগত সমস্যা?
2/6 মহিলা ও পুরুষদের ক্ষেত্রে কোন কোন সমস্যা: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব সাধারণভাবে দেখতে গেলে মহিলাদের বন্ধ্যত্বের কারণের মধ্যে রয়েছে পেলভিক ইনফ্লেমেটারি ডিজিজ, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম, বা ওভিউলেশনের অনিয়মিত সাইকেল। ছবি সৌজন্য- Pixabay
3/6 অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে লো স্পার্ম কাউন্ট একটি বড় সমস্যা। তা ছাড়াও বন্ধ্যত্বকে আষ্টেপিষ্ঠে বেঁধে রেখেছে কাজের চাপজনিত নানান মানসিকতা। অনেক ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও খারাপ জীবনযাত্রাও এক্ষেত্রে দায়ী।
4/6 কতটা দায়ী জীবনযাত্রা- 'ফার্টিলিটি দোস্ত' এর সহ প্রতিষ্ঠাতা পূর্ণিমা সুদ বলছেন, 'হ্যাঁ ৭০ শতাংশ বন্ধ্যত্বের ঘটনার কারণ জীবনযাত্রার পরিবর্তন। আমরা দেখেছি শহুরে দম্পতিরা তাড়াতাড়ি বন্ধত্ব্যের সমস্যা কাটিয়ে ওঠেন যখন তাঁরা নিজের জীবনযাত্রার পরিবর্তন করেন।' তবে এছাড়াও একাধিক ফ্যাক্টর বন্ধ্যত্বের সমস্যার জন্য দায়ী। আর তা তুলে ধরছেন পূর্ণিমা সুদ।
5/6 বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী কোন কোন ফ্যাক্টর: পূর্ণিমা সুদ বলছেন, ঘুম কম হওয়া, প্রবল পরিমাণে ধুমপান, উদাসিনভাবে খাওয়া দাওয়া, খুব স্ট্রেস(চাপ), মাদক সেবন, মদ্যপান ইত্যাদি বন্ধ্যত্বের সমস্যার জন্য দায়ী। এছাড়াও কম জল পান করাও বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ বলেও বর্ণনা করছেন তিনি।(প্রতীকী ছবি)
6/6 দাম্পত্য ও ঝগড়া: 'কেয়ার ফর পেরেন্টস ডট কম' এর প্রতিষ্ঠাতা সুচিত্রা গুপ্ত বলছেন, 'যদি দম্পতির মধ্যে একজনও দেরি করে বাড়ি ফেরেন রোজ, বা দুজনের মধ্যে কম কথা হতে থাকে, কিম্বা ঝগড়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে, তাহলে প্রজননের ক্ষেত্রে তা প্রভাব ফেলে। স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি হরমোনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে থাকে।' (ছবি প্রতীকী)