ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে এবং ফোলেটের মতো পুষ্টিগুণে ঠাঁসা শসা। এদিকে ক্যালোরি নামমাত্র। ফলে ওজন কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। দেখুন শসার ডায়েট-
1/5 যারা রোগা হতে চাইছেন, তাঁদের জন্য শসার থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না! আমরা সকলেই জানি শসায় পাওয়া যায় প্রচুর পুষ্টি এবং এটিতে থাকে প্রায় শূন্য ক্যালরি। কেবল স্যালাড হিসেবেই নয়, এটিকে স্ন্যাকস হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে। শসার সবচেয়ে ভালো দিক হল, এটি খাবার হজম করায়। পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখে।
2/5 আধা কাপ কাটা শসাতে মাত্র ৮ ক্যালোরি রয়েছে তবে ১.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৩ গ্রাম ফাইবার এবং ০.৩ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ম্যাঙ্গানিজ।
3/5 চলুন দেখে নেওয়া যাক, শসার ডায়েট প্ল্যান। এটি যতটা লোভনীয় এবং সহজ শোনাচ্ছে, শসা আসলেই প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমানোর সহায়ক সবজি। এর সাহায্যে আপনি ১৫ দিনে ৭ কেজি মতো ওজন কমাতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে শরীরের প্রোটিনের যোগান দিতে নিতে হবে পনির, চিকেন, মাছ, মাংস, টোফু, ডাল-এর মতো খাবার। দিনের ৩টি মিলে রাখুন প্রোটিন। সর্বাধিক ১৫০-২০০ গ্রাম। বাদবাকি সময় খিদে পেলেই খেতে হবে শসা।
4/5 আর যার ফলে অন্য ফল বা সবজি থেকে যে পরিমাণ ক্যালোরি আপনার শরীর পেত, তার ঘাটটি আসবে। ফলে কমবে ওজন। আর শসা-তে থাকা হাই ফাইবার আপনার পেটকে ভরা রাখবে। তবে মনে রাখবেন, প্রেসর, সুগারের মতো কোনও রোগ থাকলে, অথবা প্রেগন্যান্সিতে অথবা বাচ্চাকে স্তন্যপান করালে এই ডায়েট ফলো করা উচিত হবে না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খুব বেশি হলে ১৫ দিন একটানা এটি করা যেতে পারে।
5/5 গরমের জন্য ডায়েটে রাখুন শসার রসও। এই জুস শরীরকে ডিটক্স করতেও কাজ করে। আর শরীর থেকে খারাপ টক্সিন বের হয়ে গেলে তা আপনার ওজন কমানোর জার্নিতেই সহাযক হবে। শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত জল বের করে দেয় শসার বীজ। পেট ফোলার সমস্যা দূর করে মাংসপেশিকে শিথিলও করে৷ একইসঙ্গে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা নেয়৷ শসার মধ্যে রয়েছে ইথানল নামক একটি উপাদান, যা শরীরে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে৷ আর পেটের মেদের সঙ্গে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের লেভেলের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই নিয়মিত একগ্লাস শসার রস খান এই ৭ দিন। তবে মনে রাখবেন, ছেঁকে খাবেন না। শাঁস ও বীজ সহ পান করুন। স্বাদ বাড়াতে বিট নুন ও চাট মশলা দিতে পারেন সামান্য।