১৯৬৯ সালে নাইজিরিয়াতে প্রথম দেখা দেয় এই Lassa fever। প্রাথমিকভাবে সামলে গেলেও প্রায় ১৩ বছর পরে এটি ফিরে আশে ইংল্যান্ডে। তিন জন সংক্রামিতের মধ্যে একজন প্রাণ হারান।
এই Lassa fever-এ সংক্রমণ আবার বাড়ছে। তাতে অনেকের মধ্যেই ভয় দেখা দিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার মধ্যে নতুন একটি অসুখের আশঙ্কা নিঃসন্দেহে অনেককেই উদ্বিগ্ন করেছে। মূলত ইঁদুর থেকেই এক সময়ে ছড়িয়ে ছিল এই সংক্রমণটি।
কিন্তু Lassa fever নিয়ে কতটা ভয় পাওয়া জরুরি?
এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগে গোড়ায় জেনে নেওয়া দরকার, এটি কি ভারতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে?
এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতেও এক-দু’জন মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। যদিও তাঁরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরেছিলেন। তাঁদের মাধ্যমে রোগটি ভারতে এসে পড়ে থাকতে পারে বলে অনুমান। কিন্তু ছড়িয়ে পড়া বা বাড়াবাড়ি হওয়ার মতো কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
Lassa fever-এর লক্ষণ
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক মনীষ ওয়াধানি জানিয়েছেন, হাল্কা জ্বর, ক্লান্তি, মাথাধরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে এই সংক্রমণে। যদিও তার কোনওটাই খুব বেশি মারাত্মক হয়ে ওঠে না। তাঁর কথায়, ‘২০ শতাংশ সংক্রমিতের ক্ষেত্রে এটি অল্প জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। বমি, পেটের গণ্ডগোল, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে। তবে খুব বিরল ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে। ’
Lassa fever-এর চিকিৎসা
চিকিৎসকের কথায়, অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া থেকে শুরু করে নানা ধরেনর ওষুধ প্রয়োগ করতে হয় প্রয়োজনে। তবে অনেকেই ওষুধ ছাড়াই রোগটি সারিয়ে ফেলেন।
কীভাবে বাঁচবেন Lassa fever থেকে
খাবার এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে ইঁদুর মুখ দিতে পারবেন না। কারও Lassa fever-এর সংক্রমণ হয়ে থাকলে, তাঁর থেকে দূরে থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন। এবং ন্যূনতম সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।