বিয়ের বয়স ১৭ পেরিয়ে গিয়েছে। এদিকে যুগের হাওয়া লেগে স্ত্রী ইনস্টাগ্রামে মজে। এই পরিবর্তন মোটেই মানতে পারেননি বছর ৩৮ এর যুবক। শাস্তি দিতে স্ত্রীর গলায় কোপ বসিয়ে খুন করলেন ৩৫ বছরের মহিলাকে।
ইনস্টাগ্রামে হামেশাই রিল পোস্ট করতেন মৃতা। বানিয়েছিলেন বহু বন্ধুও। আর এই ঘটনা মোটেই মানতে পারেননি তাঁর স্বামী। তাই তাঁকে শাস্তি দিতে গলা কেটে খুন করলেন স্ত্রীকে।
ইনস্টাগ্রাম করার অপরাধে স্ত্রীর গলা কেটে খুন
জয়নগর থানার অন্তর্গত হরিনারায়ণপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। পরিমল বৈদ্য নামক এক ব্যক্তি সন্দেহ করতেন যে তাঁর স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর সংসার করার পরও স্ত্রী ইনস্টাগ্রামে মন দিলে তিনি সন্দেহ করেন যে তাঁর স্ত্রী অপর্ণা বোধহয় অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সেটার জেরেই তিনি অপর্ণাকে খুন করেন। বর্তমানে পরিমল পলাতক। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি বন্ধুদের মজলিস জমল গীতা দত্তের গানে, ফেসবুকে পোস্ট হতে নিমেষেই ভাইরাল, দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: সহনাগরিকদের আনন্দ দিতে সিগন্যালে গান গাইছেন ১ অটোচালক! মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিয়ো
অপর্ণা এবং পরিমলের দুটো সন্তান আছে। তাঁদের ছেলে ক্লাস সেভেনের ছাত্র, অন্যদিকে মেয়ে নার্সারিতে পড়ে। অপর্ণাকে যখন পরিমল খুন করেন তখন তাঁদের দুই সন্তান বাড়িতে ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 'অপর্ণা যবে থেকে ইনস্টাগ্রামে রিল বানাতে শুরু করেছিল তবে থেকেই ওঁদের মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দিত। ঝগড়া অশান্তি লেগেই থাকত। অপর্ণার একাধিক বন্ধুও ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটাই তাঁর বরের বিশেষ পছন্দ ছিল না।'
এদিন তাঁদের ছেলে টিউশন থেকে ফিরে দেখে ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে, তার মধ্যেই মরে পড়ে আছে তার মা। এরপর সেই গিয়েই স্থানীয়দের ডেকে আনে। পুলিশকে ছেলেটি জানিয়েছে, 'বাবা মায়ের মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হতো। বাবা প্রায়ই মাকে মেরে ফেলার কথা বলতো। বৃহস্পতিবার রাতেও ওদের মধ্যে খুব অশান্তি হয়েছিল।'
এই লাগাতার অশান্তির জেরে নাকি একাধিক বার সংসার ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন অপর্ণা। একদিকে তিনি যেমন ইনস্টাগ্রাম ছাড়তে পারেননি, তেমনই উল্টো দিকে পরিমলের সন্দেহ কমেনি। আপাতত মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।