গাছের হলুদ পাতা অনেক বাগানিরই রাতের ঘুম ওড়ায়। দেখুন এক্ষেত্রে কী করবেন, কেনই বা এই সমস্যা হয়।
1/7গাছের হলুদ পাতা অনেক বাগানিরই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এই সময় সঠিক যত্ন না নিলে এভাবে সব পাতা হলুদ হতে হতে গাছ মারাও যেতে পারে। গাছের হলুদ পাতার সমস্যাকে বলে ক্লোরোসিস (Chlorosis)। পাতায় থাকা ক্লোরেফিলের কারণেই পাতা সবুজ দেখায়। যার উপস্থিতিতে সূর্যের আলো আর কার্বন ডাই অক্সাইডের সাহায্যে গাছ অক্সিজেন ও গ্লুকোজ (গাছের খাবার) তৈরি করে।
2/7গাছে জল বেশি বা কম দেওয়া কিন্তু গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে কীভাবে বুঝবেন জল কম বা বেশি হচ্ছে? যদি পরবর্তীতে জল দিতে গিয়ে দেখেন মাটি একেবারে খটখটে শুকনো এবং গাছের পাতাগুলো নুইয়ে পড়ছে তাহলে বুঝতে হবে জলের প্রয়োজন। আর পাতা ঝরে পড়া, কাণ্ড নরম হয়ে আসা, মাটি অনবরত ভেজা থাকলে বুঝবেন আপনার গাছকে এবার কম পরিমাণে জল দিতে হবে। মাটির উপরের ২-৩ ইঞ্চি পুরোপুরি শুকনো অবধি অপেক্ষা করুন। তারপরই ফের গাছে জল দেবেন।
3/7রুট বাউন্ড হয়ে যাওয়ার কারণেও কিন্তু গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়। অর্থাৎ বড় গাছ যেমন জবা, আলমন্ডা, গোলাপ প্রভৃতি গাছের ক্ষেত্রে ১-২ বছর পরপর শিকড়় কাটাই-ছাটাই করা প্রয়োজন। শিকড় যদি জড়িয়ে যায় তাহলে গাছ প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে না। বসন্ত বা বর্ষাকাল শিকড় কাটাই-ছাটাই করার আদর্শ সময়।
4/7গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া কিন্তু খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি সপ্তাহে একটা সুস্থ গাছে ২-৩টে পাতা হলুদ হয় তাহলে বুঝবেন এটা পুরোপুরি স্বাভাবিক ঘটনা। বেশিরভাগ গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে, পুরানো পাতাগুলি মারা যায়, হলুদ হয়ে যায় এবং অবশেষে ঝরে যায়। এগুলি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।
5/7ম্যাগনেসিয়ামের অভাবেও গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট বা এপসম সল্ট ১ গ্রাম ১ লিটার জলে মিশিয়ে পাতায় স্প্রে করুন ১৫ দিনে ১ বার। মাটিতেও দিতে পারেন।
6/7আয়রনের অভাব থাকলেও গাছের পাতা হলুদ হয়। এক্ষেত্রে চিলেটেড আয়রন দিতে হবে আপনাকে। ১ লিটার জলে ১ গ্রামের থেকে সামান্য কম গুলে গাছের পাতায় স্প্রে করতে হবে আর মাটিতে দিয়ে দিতে হবে।
7/7সঙ্গে টবের গাছে নিয়মিত খাবার দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। ২-৩ মাস বাদে বাদে গাছে ভার্মি কম্পোস্ট বা গোবর সার বা পাতা পচা সার দিন। সঙ্গে জৈব বা রাসায়নিক সারও দিতে হবে মাসে ১বার করে। গাছকে পোকামাকড় বা ফাঙ্গাসের হাত থেকে বাঁচাতে দিতে হবে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকও।