আমরা অনেকেই মুখরোচক তেলে ভাজা তৈরির জন্য গরম তেল ব্যবহার করি। কিন্তু সেই তেলে ভাজার সময় যে তেল বেঁচে যায়, তা অনেকেই অন্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন না, এই পোড়া তেল দ্বিতীয়বার ব্যবহার করলে শরীরে নানা জটিল রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
পোড়া তেল বারবার ব্যবহার করলে শরীরেfree radical-এর পরিমাণ বাড়তে পারে। যা আমাদের শরীরে নানা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এইfree radicalকখনও ক্যানসারের কারণও হতে পারে।
পোড়া তেল ব্যবহার করলে শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ায় ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা, হার্ট বা স্নায়ুর সমস্যা-সহ নানা রোগ দেখা দিতে পারে।
তেল কত বার ব্যবহার করা যেতে পারে?
ব্যবহৃত তেলে একবার খাবার তৈরির পর আর ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কী ধরনের তেল ব্যবহার করা হচ্ছে,তার উপর নির্ভর করে এটি কতবার ব্যবহার করা যাবে। কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলে ব্যবহৃত তেলে পুনরায় রান্না করতে পারবেন।
প্রথমে অবশিষ্ট তেল ঠান্ডা করা উচিত। তারপর সেই তেল একটি এয়ার টাইট কন্টেনারে রাখলে তেলের মধ্যে যে ক্ষতিকারক কণাগুলি থাকে তা সরে যায়।
তেল পুনরায় ব্যবহার করার আগে রং এবং ঘনত্ব পরীক্ষা করা জরুরি। যদি তেল গাঢ় বা কালচে রং এবং ঘন হয়ে যায়, তবে এটিকে ব্যবহার না করাই ভালো।
যদি তেল গরম করার সময় ধোঁয়া হয়ে যায় দ্রুত,তাহলে তা ফেলে দেওয়া উচিত। এই তেলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক রাসায়নিক জমে থাকতে পারে।
মনে রাখা প্রয়োজন
বিভিন্ন ভোজ্যতেলের পুষ্টিগুণ ও উপাদান ভিন্ন। সব তেল এক উচ্চ তাপমাত্রায় ভাঙে না। কিছু তেল দীর্ঘ সময় ধরে উনুনের আঁচে ভাঁজার জন্য উপযুক্ত। যেমন- সূর্যমুখী তেল,সয়াবিন তেল,চিনাবাদামের তেল,তিলের তেল,সরিষার তেল এবং ক্যানোলা তেল ইত্যাদি।
অন্যদিকে অলিভ অয়েলের মতো তেলগুলো ভাজাপোড়ার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এ তেল একবারই ব্যবহার করা যেতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রায় এ তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।