ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপনে নানা রকমের পরিকল্পনা করতে দেখা যায়। পছন্দের বা ভালোবাসার মানুষটিকে প্রেম নিবেদনে নতুন নতুন পরিকল্পনার কমতি থাকে না। প্রেমের বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন দেশে আজব সব প্রথার চল রয়েছেন। তবে ভারতেও রয়েছে একই জিনিস। খোদ রাজধানী দিল্লিতেই রয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স পালনের আজব প্রথা।
ভ্যালেনটাইনস ডে অন্য ধাঁচে পালিত হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা হিন্দু কলেজে। কলেজ প্রাঙ্গণে থাকা ‘ভার্জিন ট্রি'কে পুজো করা হয় এই দিন। প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি কোনও বলিউডি অভিনেত্রীকে ‘দমদমী মা’ রূপে পুজো করা হয় এই কলেজে। গাছে ব্যাচেলর অভিনেত্রীর পাশাপাশি অভিনেতার ছবি ঝুলিয়েও পুজোআচ্চা চলে। পুজোর পাশাপাশি চলে মজাদার বলিউডি, পাঞ্জাবি গানবাজনা।
তবে এবারের পুজোয় কোনও অভিনেতা বা অভিনেত্রীর ছবি রাখা হয়নি। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক ছাত্র ললিত দাদারওয়াল জানান, এই বছর কন্ডোমের মালা নয়, ফুল বেলপাতার মালা দিয়েই পুজো করা হয় দমদমি মায়ের। পাশাপাশি কোনও অভিনেতা বা অভিনেত্রীর ছবি রাখা হয়নি। তিনি বলেন, হোস্টেল আবাসিকরা অভিনেত্রীর ছবি দিয়ে পুজো করত। শুধু তাই নয়। হিন্দুস্তান টাইমসকে ললিত জানান, আমাদের কলেজের বহুদিনের ঐতিহ্য এই পুজো। এত সহজে বন্ধ হতে দেওয়া যায় নাকি। তাই এই বছরও পুজো হয়েছে। অন্যবারের থেকে কিছুটা আলাদা এবারের পুজো পদ্ধতি।
কোভিডের সময় দুই বছর এই পুজো বন্ধ ছিল। কোভিডের আগে দিশা পাটানির ছবি ঝুলিয়েও পুজো হয় এই গাছতলায়। সেবার মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক দেখে তাকে বেছে নিয়েছিল ব্যাচেলররা। এমন পুজোর বেশ কিছু নিয়মও রয়েছে। কোনও কাপলরা এই পুজোয় অংশ নিতে পারবেন না। পুজোর আগে সিঙ্গলদের মধ্যে ভোটাভুটি চলে। কোন বলিউডি অভিনেত্রীকে এইবার বেছে নেওয়া হবে ‘দমদমি মা’ হিসেবে। সেই মতো যিনি বেশি ভোট পান তিনিই মনোনীত হন। যে বছর দিশা পাটানির পুজো হয়, সে বছর ভোটাভুটির দৌড়ে ছিল নার্গিস ফকরি। কিন্তু দিশার ভোট বেশি থাকায় তার ছবি ঝুলিয়েই পুজো চলে। তবে অন্যবারের মতো এইবার আর কোনও অভিনেত্রী বা অভিনেতা নয়। শুধু 'ভার্জিন ট্রি'-এর উদ্দেশ্যেই পুজো করেন সিঙ্গল কলেজ পড়ুয়া।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup