ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা একটা অত্যন্ত চেনা এবং পরিচিত সমস্যা। সঠিক ভাবে ত্বক পরিষ্কার না করা হলেই দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। যখনই আপনি ভালো করে মুখ পরিষ্কার করবেন না তখনই লোমকূপে ময়লা এবং তেল জমে তাতে ব্ল্যাকহেডস তৈরি হবে। এটা আর কিছুই নয়, লোমকূপে যখন মৃত কোষ, ময়লা আর তেল জমে সেটা বন্ধ করে দেয় তখন তা হাওয়া লেগে কালো হয়ে যায়। ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা মূলত নাকে এবং ঠোঁটের নিচে দেখা যায়।
নানান ভাবে ব্ল্যাকহেডস তোলা যায়। কেউ পার্লারে যান, কেউ বা আবার বাজার থেকে ব্ল্যাকহেডস তোলার স্ট্রিপ কিনে এনে সেটা ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে যে ব্ল্যাকহেডস সম্পূর্ণ ভাবে দূর হয় মোটেই সেটা নয়। উল্টে ব্যথা লাগে। বরং তার থেকে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে ব্যথা তো হবেই না, উল্টে খুব সহজেই দূর করা যাবে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা।
দেখুন কোন ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর করবেন।
মধু এবং কাঁচা দুধ: এক চামচ মধু নিন তার সঙ্গে এক চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে হালকা গরম করে নিন। তারপর এটা ঘন হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হলে এটি নাক এবং থুতনিতে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই তিনবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন। মধুতে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবাল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা ত্বককে ভালো রাখে।
ওটমিল এবং দই: ওটস স্ক্রাবিং করতে সাহায্য করে। আর অন্যদিকে দই ত্বক পরিষ্কার রাখতে এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এই প্যাক বানানোর জন্য ৪ চিচ ওটস নিন, সঙ্গে দিন দুই চামচ দই। এবার এটাকে মিশিয়ে খানিকক্ষণ রাখুন। তারপর সেটাকে মুখে লাগান মূলত যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছেন এরপর ৫ মিনিট ধরে মুখ ম্যাসাজ করুন। এরপর এই প্যাক শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
মধু এবং দারুচিনি: আধ চামচ দারুচিনি গুঁড়োর সঙ্গে দুই চামচ মধু মিশিয়ে সেটা নাকে এবং তার চারপাশে লাগান। এরপর কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ এবং চন্দন: হলুদ যেমন ব্রণর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে তেমনই এটা ব্ল্যাকহেডস তাড়াতেও সাহায্য করে থাকে। এই প্যাক বানানোর জন্য। এক চামচ দই নিন, তাতে দিন আধ চামচ হলুদ এবং কয়েক ফোঁটা চন্দন তেল বা সামান্য চন্দনের গুঁড়ো। এবার এটাকে ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। যখন শুকিয়ে যাবে তখন সেটা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।