প্রস্টেটের আকার বেড়ে যাওয়ার ঘটনা সাধারণত বার্ধক্য আসার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়। সারা বিশ্বের বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, আশি বছরের বেশি বয়স এমন অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বার্ধক্যজনিত নানা পরিবর্তন আসে। একইসঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যেও পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এই দুইয়ের মিলিত কারণে বেনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্ল্যাশিয়া রোগটি দেখা দেয়।
অক্ষর যোগ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হিমালয়ান সিদ্ধা অক্ষরের মতে, যোগাসনের মাধ্যমে এই কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যোগাসনের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। নিয়মিত যোগাসন মন ও শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া অগ্ন্যাশয় ও ব্লাডারের পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে প্রস্টেট বেড়ে যাওয়ার মতো রোগের আশঙ্কা কমে।
নিয়মমাফিক যোগাসনে পেলভিক আঞ্চলের পেশিগুলো শক্ত ও নমনীয় থাকে। অক্ষরের কথায়, প্রতিদিন ব্যায়ামের অভ্যাস থাকলে কোনওরকম ওষুধ বা বড়সড় চিকিৎসা সহজেই এড়ানো যায়।
কোন কোন ধরনের ব্যায়াম পেলভিক অঞ্চলের পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে? অক্ষর এর উত্তরে চারটি ব্যায়ামের হদিশ দিয়েছেন।
বীরাসন: এক্ষেত্রে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করে দুই পায়ের মাঝে বসতে হবে। পায়ের পাতা পিছনের দিকে থাকবে। সমস্যা হলে বসার জন্য একটি কুশন ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর মেরুদন্ড সোজা করে হাত দুটো সামনে দুই হাঁটুর উপর রাখতে হবে। শরীরের সমস্ত ওজন হাঁটুর বদলে নিতম্বের উপর থাকবে। এমনভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর, একদিকে ঘুরে পা সোজা করে আসনটি শেষ করতে হবে।
বদ্ধ কোণাসন: এই আসনের জন্য বসার পর দুপায়ের পাতা মুখোমুখি এনে এক করতে হয়। এই অবস্থায় হাঁটু দুটো মেঝের সঙ্গে লেগে থাকবে। এই আসনে পেশি প্রসারণ বাড়াতে হলে মুখোমুখি জুড়ে রাখা পায়ের পাতা দুটি ভিতরের দিকে আনতে হবে। আর প্রসারণ কমাতে পায়ের পাতা বাইরের দিকে অর্থাৎ সামনের দিকে এগিয়ে দিতে হবে।
জানু শীর্ষাসন: এক্ষেত্রে প্রথমে নীচে বসে দুই পা সামনের দিকে বাড়িয়ে দিতে হবে। এই অবস্থায় ডান পা ভাঁজ করে বাঁ পায়ের থাইয়ের দিকে নিয়ে আসতে হবে। এবারে থুতনি বুকের কাছে ঠেকিয়ে দুই হাত নিচে রেখে ধীরে ধীরে যতটা সম্ভব মেঝের দিকে ঝুঁকতে হবে। শরীর উপর তোলার সময় ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়তে হবে।
ধনুরাসন: এই আসনের জন্য মেঝেতে উপুড় হয়ে শুতে হবে। এরপর শরীরের সামনের অংশ ধীরে ধীরে মেঝে থেকে উপরে তুলতে হবে। অন্যদিকে দুই পা পিছন দিকে বেঁকিয়ে উপরে তুলে আনতে হবে। এরপর দুই হাত পিছন দিকে বাড়িয়ে দুই পায়ের আঙুল ধরতে হবে। এই অবস্থায় শরীরের সমস্ত ভার পেটের উপর থাকে।
(তবে এই আসনগুলি করার আগে অবশ্যই কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে এই ধরনের আসন প্রথমেই করতে যাবেন না)