মোদীর আলো নিভিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের আহ্বানে কয়েক মিনিটের মধ্যে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেল ৩২ গিগাওয়াট। রবিবার রাতে ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন এমনটাই জানিয়েছে। রাত ৯টা থেকে ৯.১৫ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদার নিরিখে এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে তারা। রাত ৯.১৫ মিনিটের পর থেকে ফের ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে বিদ্যুতের চাহিদা।
বলে রাখি, বিদ্যুৎ সঞ্চয় করা যায় না। বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলে তা কোথাও না কোথাও খরচ করতেই হবে। নইলে তড়িৎ প্রবাহের তারতম্যে পাওয়ার গ্রিড স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সম্ভাবনার মাথায় রেখে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা। বিদ্যুতের চাহিদার হঠাৎ এই তারতম্য মোকাবিলায় তাঁরা কৌশলে ব্যবহার করেছেন জলবিদ্যুৎ ও গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে। কারণ, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে যখন তখন বন্ধ বা চালু করা যায়। উলটো দিকে কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট বন্ধ বা চালু করতে লেগে যায় বেশ কয়েক ঘণ্টা।
বিদ্যুতমন্ত্রী আর কে সিং জানান যে সমস্ত সংস্থার অফিসার ও ইঞ্জিনিয়াররা মিলে খুব ভালো ভাবে সামলেছেন এই পরিস্থিতিটি। পরিসংখ্যান জানিয়ে আরকে সিং বলেন, যে ১১৭ গিগাওয়াট থেকে বিদ্যুতের চাহিদা ৮৫.৩০ গিগাওয়াট হয়ে গিয়েছিল মাত্র চার মিনিটের মধ্যে। এটি প্রত্যাশিত ১২ গিগাওয়াটের পতনের থেকে অনেকটা বেশি ছিল, জানিয়েছেন আর কে সিং।
এরপর বিদ্যুতের চাহিদা ফের যখন বাড়ে, তখন এক লাফে ১১০ গিগাওয়াট পৌঁছে যায়।কিন্তু সেই ওঠা-নামাও সামলে নিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে জলবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেন ইঞ্জিনিয়াররা। পুনর্ব্যবহার যোগ্য শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেক করে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে শুরু করলে ফের চালু করা হয় ইউনিটগুলি। একে একে চালু করা হয় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বন্ধ থাকা ইউনিটগুলিকে।