রাতের দিকে আত্মবিশ্বাসটা যে শুধু বাইরে থেকেই ছিল, কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই প্রমাণ দিল অশোক গেহলট শিবির। রাত আড়াইটের সময় সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস দাবি করল, গেহলটের সমর্থনে রয়েছেন ১০৯ জন বিধায়ক।
জয়পুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে দলীয় বিধায়কদের বৈঠকের পর রাজস্থান কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত অবিনাশ পাণ্ডে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও সমর্থন জানিয়েছে মোট ১০৯ জন বিধায়ক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কয়েকজন বিধায়ক এবং সকালের মধ্যে তাঁরাও সমর্থনের চিঠিতে স্বাক্ষর করবেন।’
পাণ্ডে জানান, সোমবার সকালে কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকের জন্য উইপ জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ বৈঠকে সব বিধায়কদের বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। কোনও কারণ না জানিয়েই যে বিধায়করা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
তবে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের কার্যালয়ের তরফে রবিবার সন্ধ্যায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সোমবারের বৈঠকে তিনি থাকছেন না। একইসঙ্গে হুঙ্কার দেওয়া হয়েছে, পাইলটের কাছে ৩০ জন কংগ্রেস বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পাশে রয়েছেন কয়েকজন নির্দল বিধায়কও। পাইলট অবশ্য কোথায় রয়েছেন, তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও তিনি দিল্লির আশপাশেই রয়েছেন খবর। ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, গুরুগ্রামের একটি রিসর্টে পাইলট অনুগামী কয়েকজন বিধায়ক আছেন।
যদিও গভীর রাতের সাংবাদিক বৈঠকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট দিল্লিতে আছেন কিনা, সেই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তা কার্যত না জানার ভান করেন রাজস্থান কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত। সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি না জানলেও পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যাওয়ার পর আসরে নেমেছে কংগ্রেসের হাইকমান্ড। সরকার বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টায় রবিবার সন্ধ্যায় জয়পুরে এসেছেন দলের দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং অজয় মাকেন। লক্ষ্য, গেহলট এবং পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটানো। সেই দ্বন্দ্ব অবশ্য কতটা মিটবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৮ সালে সরকার গঠনের পর এতদিন সেই মেরামতির কাজটা করলে কংগ্রেসকে এই দিনটা দেখতে হত না।