করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে। ওমিক্রনের ত্রাসের জেরে সপ্তাহান্তে লকডাউন জারি করা হয়েছিল দিল্লিতে। এই পরিস্থিতিতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ ও ট্যাবলো শোভাযাত্রার আয়োজনে কাটছআঁট করা হয়েছে। পাশাপাশি লোক সমাগমও কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংক্রমণ ঠেকাতে।
জানা গিয়েছে, রাজপথে এবার প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ৫০০০ থেকে ৮০০০ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন। এই বিষয়ে অবগত এক আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘আমরা তৃতীয় কোভিড ঢেউয়ের মাঝে এই প্যারেডটিকে একটি সুপারস্প্রেডার ইভেন্টে পরিণত করতে চাই না। এই কারণে অনুষ্ঠানে দর্শকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে। আমরা এখনও চূড়ান্ত সংখ্যা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। তবে পাঁচ হাজার থেকে আট হাজারের মধ্যেই লোক সমাগম রাখা হবে।’
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ডবল টিকাপ্রাপ্ত প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে যাঁরা একটি টিকা পেয়েছেন, তাঁদেরকেই অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। প্রাক-মহামারী যুগে এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য রাজপথে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার লোক আসত। তবে গতবছর ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। সেই সময় দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়নি। এদিকে জানা গিয়েছে বিটিং রিট্রিটের সময় ১০০০টি ড্রোনের মাধ্যমে একটি বিশেষ প্রদর্শনী চলবে রাজধানীর আকাশে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে উদযাপন করতেই এই ড্রোন শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এবারের ফ্লাইপাস্টে ৭৫টি যুদ্ধবিমান থাকবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার টাঙ্গাইল ড্রপের ঘটনাটে ফিরে দেখা হবে এই কুচকাওয়াজে।
রাজপথে ১০ টি বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানোর বন্দোবস্ত করছে সিপিডাব্লিউডি। এই প্রথমবার সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ চলবে। যা নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুত তুঙ্গে রেখেছে সিপিডাব্লিউডি। এদিকে, দেশের প্রতিরক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে বেশ কয়েকটি তাক লাগানো স্ক্রল তুলে ধরা হবে। সেখানে পটুয়া, পটচিত্র, তালপাতা চিত্র, মধুবনী শিল্পকে তুলে ধরা হবে। এরজন্য ওড়িশা ও ছত্তিশগড় থেকে ৫০০ জন শিল্পী সেই স্ক্রলগুলিতে নিরন্তর কাজ করছেন।