হিরেকোপ রাজন স্যামুয়েল
কর্নাটকের কারওয়ার জেলার ডান্ডেলিতে একটি বেসরকারি স্কুলের ১৪ জন ছাত্রী ব্লেড দিয়ে নিজেদের হাত চিরল। তারা নবম এবং দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা নবম এবং দশম শ্রেণির ছাত্রী। কেন তারা ওই কাণ্ড ঘটালো তা জানা যায়নি। এ নিয়ে ছাত্রীরাও কিছু বলতে চায়নি। তাই বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসন ওই ছাত্রীদের মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
মেয়েদের এই কাণ্ড দেখে হতবাক বাবা-মারও। বাড়ি আসার পর থেকে মেয়েরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাবা-মাও তাঁদের বকাঝকা করেননি। কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গিয়েছেন।
জানা গিয়েছে,কানাড়া মিডিয়াম ওই স্কুলের মেয়েরা শনিবার স্কুল ছটির পর থেকে যায়। শনিবার দিন দুপুরেই স্কুল ছুটি হয়ে যায়। বিষয়টি চোখে পড়ে স্কুলের এক কর্মীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মী জানিয়েছেন, তিনি দেখে বেশ কয়েকজন মেয়েদের হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে। তাদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়। ছাত্রীদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। তাঁর এলে খবর দেওয়া হয় পুলিশ। পুলিশ এসে মেয়েদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও স্পষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অভিভাবকরা।
সিরসির ডিডিপিআই পারি বাসবরাজ বলেন, '১৪জন ছাত্রের বাম হাতে কব্জি থেকে কয়েক সেন্টিমিটার উপরে কাটার দাগ রয়েছে। প্রত্যেকেই দাড়ি কাটার ব্লেড দিয়ে ১৪ থেকে ১৫টি কাট করেছে।'
ছাত্রীদের দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রীরা আপাতত বিপদমু্ক্ত।
তবে তারা এই ভাবে নিজেদের কেন ক্ষতি করল তা ভাবাচ্ছে পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মেয়েরা হাত কাটার কারণ হিসাবে এক একজন একেক রকম উত্তর দিয়েছে।এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষা বিভাগের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীরা হাত কাটার কারণ হিসাবে তচ্ছু ঘটনার কথা জানিয়েছে। এক মেয়ের দাবি মায়ের প্রতি সে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছিল সে কারণ হাত ব্লেড দিয়ে চিরেছে। অন্য একটি ছাত্রী জানিয়েছে, সহপাঠী তার সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিয়েছিল সেই কারণে সে হাত চিরে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কারণ শুনে হতবাক অভিভাবকরা। আপাতত ছাত্রীদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসা চলবে। তিনি জানার চেষ্টা করবেন, কেন ছাত্রীরা ওই কান্ড ঘটিয়েছিল।