মঙ্গলবার আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা ৭৮ জনের মধ্যে ১৬ জনের করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের মধ্যে আছেন তিনজন আফগান শিখও। যাঁরা তিনটি টি গুরু গ্রন্থসাহিব এনেছিলেন। তাঁদের আপাতত নিভৃতবাসে (কোয়ারেন্টাইন) রাখা হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র আর পি সিংকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে জানিয়েছে, ধর্মেন্দর সিং, কুলরাজ সিং এবং হিম্মত সিংয়ের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। যাঁরা টি গুরু গ্রন্থসাহিব নিয়ে এসেছেন। তারপর সেই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ দিল্লির একটি গুরুদোয়ারায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এমনিতে সোমবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে যাঁরা ভারতে ফিরেছেন, তাঁদের কতজনকে করোনাভাইরাস টিকা দেওযা হযেছে, তার নির্দিষ্ট কোনও পরিসংখ্যান নেই। আফগানিস্তানে কোন কোন প্রজাতির করোনাভাইরাস ছিল, তা স্পষ্টও নয়। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আফগানিস্তান থেকে ভারতে মানুষদের বাধ্যতামূলকভাবে নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
যদিও সেই সিদ্ধান্তের জেরে কয়েকজন সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কাবুল বিমানবন্দরে পাঁচটি বিনিদ্র রাত কাটানোর পর ভারতে আসা এক মহিলার অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে তাঁর দু'বছরের ছেলেকে দুধ খাওয়াতে পারেননি। ১৯ অগস্ট থেকে কাবুল বিমানবন্দরে ছিলেন। মঙ্গলবার ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট নাগাদ তাঁরা বিমানে ওঠেন। প্রথমে যান তাজিকিস্তানে। তারপর সকাল ন'টায় দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছান। রাত ১০ টা পর্যন্ত তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি। প্রাতঃরাশ দেওয়া হলেও কেউ মধ্যাহ্নভোজ দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা। তাঁর দাবি, জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। দিল্লি পৌঁছানোর তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একই দাবি করেছেন এক আফগান আধিকারিকও।