একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন পরিবারের সাত সদস্য। তবে এরই মধ্যে পাঁচজনের আর কোনওদিন ঘুম ভাঙবে না। অপর দু'জনও গুরুতর অসুস্থ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহার আলিপুর ভুদ গ্রামে। সেখানেই এক পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দু'জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, 'অঙ্গেথি' বা কয়লা ব্রেজিয়ার থেকে নির্গত ধোঁয়া থেকে শ্বাসকষ্টের জেরেই মৃত্যু হয়েছে সেই পাঁচজনের। ঘটনাটি সম্ভবত সোমবার রাতে ঘটে। অনুমান করা হচ্ছে, ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় সেই পাঁচজনের। (আরও পড়ুন: 'নিজের ছেলেকে খুন করে…', AI সংস্থার CEO সূচনাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের)
আরও পড়ুন: CU, রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা সূচনার! নিজের ছেলেকে খুন করা এই AI সংস্থার CEO কে?
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত থেকে সাতজনের মধ্যে কেউ বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসীরা দরজা ভেঙে সেখানে ঢোকেন। এরপরই তাঁরা দেখতে পান পরিবারের সাত সদস্য অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁদের সেই অবস্থায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে সাতজনকেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে পাঁচজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাকি দু'জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। এদিকে জানা গিয়েছে, মৃত পাঁচজন হলেন- সোনম (১৯ বছর বয়স), ওয়ারিস (১৭ বছর বয়স), মেহক (১৬ বছর বয়স), জায়েদ (১৫ বছর বয়স) এবং মাহির (১২ বছর বয়স)। ঘরে কয়লার ধোঁয়া থেকে শ্বাসকষ্টের কারণে এই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য তদন্ত করা হবে।
এই ধরনেরই একটি ঘটনায় গত শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের হিসার সেনানিবাসের কাছে একটি রেলওয়ে কলোনিতে মৃত্যু হয়েছিল দু'জনের। ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রেখেছিলেন ত্রভেজ মহম্মদ এবং শিব ধানি। আগুন জ্বালিয়েই তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর ঘুমন্ত অবস্থাতেই শ্বাসকষ্টের কারণে দু'জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, নিহতরা ত্রভেজ এবং শিব ধনি হিসারের সাতরোদ রেলওয়ে স্টেশনে ক্রেন অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। এই নিয়ে হিসার পুলিশ বলে, 'ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রাতে তাঁদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দু’জন ঘুমাচ্ছিল। তখনই ঘটনাটি ঘটে… ঘরটি বন্ধ থাকায় এবং আগুন জ্বলতে থাকায় তাঁরা দমবন্ধ হয়ে মারা যান।'