উৎপল পরাশর
এক আত্মীয়াকে খুন করেছে বলে সালিশি সভায় দোষী ঘোষণা করা হয়েছিল এক প্রৌঢ়কে। এরপর ৬০ বছর বয়সী সেই ব্যক্তিকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অসমের লালুনগাঁও এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকাল ৫টা নাগাদ এই ঘটনা হয়েছে।
কালিয়াবরের এসডিপিও মৃন্ময় দাস জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আমরা খবর পাই একজনকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সালিশি সভার সিদ্ধান্তের পরেই এই ঘটনা হয় বলে জানা গিয়েছে। রঞ্জিত বরদলুই নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কাছেই একটি কবর খোঁড়া হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, রঞ্জিত বরদলুই পেশায় কৃষক ছিলেন। তার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তিনজন মহিলা সহ পাঁচজনকে পুলিশ আটক করে জেরা করছে।
সূত্রের খবর, গত ২ জুলাই গ্রামের পুকুর থেকে সদ্য বিবাহিতা কবিতা পাতার নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই মহিলা রঞ্জিতের আত্মীয়া ছিলেন। তিনি গর্ভবতী ছিলেন বলে খবর। প্রথমদিকে অনেকেই ভেবেছিলেন কবিতা জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। পরে এলাকায় রটে যায় কবিতাকে খুন করে পুকুরে ফেলা হয়েছিল।
এরপর গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেখানে রঞ্জিতকে দোষী বলে ঘোষনা করা হয়। কয়েকজন গ্রামবাসী দাবি করেন রঞ্জিত দোষ স্বীকার করেছিলেন। তবে এটা যাচাই করা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, এরপরই উত্তেজিত জনতা তার বাড়িতে গিয়ে কেরোসিন ঢেলে তাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয়। এরপর তাকে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়।