অস্ত্রোপচারের পর মহিলার পাকস্থলী থেকে ফোরসেপ বের করতে ভুলে গিয়েছিলেন চিকিৎসক। টানা ৫ বছর ধরে অস্ত্রপোচারের ওই সরঞ্জাম মহিলার পাকস্থলীতেই ছিল। যারফলে যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে ওই মহিলাকে। বিষয়টি জানার পরেই ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ওই মহিলা। ঘটনাটি কেরলের। সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ। কোঝিকোড়ের ওই মহিলা হারশিনার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করে স্বাস্থ্য সচিবকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন মন্ত্রী।
রক্ত দেওয়া হয়নি রোগীকে, ছাত্রীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতি অভিযোগে বিক্ষোভ পরিবারের
ফোরসেপ হল কাঁচির মতো সরঞ্জাম। যা সার্জেন্টরা অস্ত্রপোচারের সময় রক্তপাত আটকাতে ব্যবহার করে থাকেন। জানা গিয়েছে, পাকস্থলীতে সমস্যার কারণে ওই মহিলার তিনটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ২০১৭ সালের নভেম্বরে কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে তার তৃতীয় অস্ত্রোপচার হয়। প্রথম দুটি অস্ত্রোপচার তিনি করিয়েছিলেন বেসরকারি হাসপাতালে। তৃতীয় অস্ত্রপোচারের পরে, তিনি তীব্র ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন।
মহিলার কথায়, ‘আমি ভেবেছিলাম হয় আমার কিডনিতে পাথর বা কোনও ধরনের ক্যান্সার হয়েছে।’ তবে ওষুধ খেয়ে সেই ব্যথা কমে গেলেও গত ছয় মাস ধরে তিনি মূত্রনালীর সংক্রমণে ভুগছিলেন। এরপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে সিটি স্ক্যান পরে যা জানতে জানতে পারেন তাতে তিনি হতবাক হয়ে যান। তিনি জানতে পারেন ফোরসেপ এখনও তার পাকস্থলীতে রয়ে গিয়েছে। এর ফলে সংক্রমণ হয়েছিল। অবশেষে অস্ত্রোপচার করে সেটি বের করেন গত সেপ্টেম্বরে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এর জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও মেডিক্যাল কলেজের পক্ষে একথা অস্বীকার করা হয়েছে।