কয়েকদিন আগেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে এখনও তিনিই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে আছেন। এই আবহে দলের প্রধানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ৭, লোককল্যাণ মার্গে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে আম আদমি পার্টি। এই আবহে আজ সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় বিশাল সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এদিকে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দেন বহু আপ সমর্থক। এই আবহে বহু জায়গা থেকে আম আদমি পার্টির কর্মীদের আটক করছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে নয়াদিল্লি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: জঙ্গি মুক্তির বদলে খলিস্তানিদের থেকে ১৩৩ কোটি নিয়েছিলেন কেজরি, বিস্ফোরক পান্নুন)
আরও পড়ুন: মোদীর কানে পৌঁছেছে সুকান্তর অনুরোধ? উত্তরবঙ্গে এইমসের দাবিতে রাস্তায় বাংলা পক্ষ
আজকের কর্মসূচির জন্য সকাল ১০টার সময় দলের সমর্থকদের পটেল চক এলাকায় জড়ো হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আপ নেতৃত্বের তরফ থেকে। এই আবহে জমায়েত বাড়তেই পটেল চক মেট্রো থেকে শুরু করে আশেপাশএর জায়গা থেকে আম আদমি পার্টি কর্মী-সমর্থকদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বাসভবন পর্যন্ত মিছিল করে যাওয়ার কোনও অনুমতি আম আদমি পার্টিকে দেওয়া হয়নি। এদিকে পটেল চক ছাড়াও সকাল থেকেই লোককল্যাণ মার্গ মেট্রো স্টেশনের সামনে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট মেট্রো স্টেশনের কিছু গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া দিল্লি জুড়ে পুলিশের ৫০টি গাড়ি টহল দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আম আদমি পার্টির কর্মসূচির জন্য সফদরজং রোড, আকবর রোড এবং তিন মূর্তি মার্গ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে 'ন্যূনতম মজুরি' তুলে দেবে কেন্দ্র, ঢেলে সাজবে বেতন কাঠামো?)
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের বালুতটে আদানির পদচিহ্ন, ৩৩৫০ কোটিতে কিনলেন বন্দর
এদিকে জেল থেকেই দিল্লির সরকার চালিয়ে যাচ্ছেন কেজরিওয়াল। গতকাল ইডি হেফাজতে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের দ্বিতীয় নির্দেশিকা জারি করেন কেজরিওয়াল। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজকে তিনি নির্দেশ দেন যাতে দিল্লির কোনও মহল্লা ক্লিনিকে ফ্রি ওষুধের ঘাটতি না দেখা দেয়। পরে সৌরভ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, 'দিল্লির মানুষের জন্য কেজরিওয়াল খুবই চিন্তিত'। এদিকে বিজেপি পালটা অভিযোগ করেছে, সহানুভূতি পেতে কেজরিওয়াল 'নাটক' করছেন। এই সবের মাঝেই আজ দিল্লির রাজনৈতির পারদ ক্রমেই চড়ছে। লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।