বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের দহিসর এলাকায় ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে গুলিবিদ্ধ শিবসেনার প্রাক্তন কর্পোরেটর তথা প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে অভিষেক ঘোষালকর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অভিষেককে বোরিভালির করুণা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। কয়েকদিন আগেই উলহাসনগরের একটি থানার ভিতরে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর এক নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখা যায় এক বিজেপি বিধায়ককে। এরপরই এই ঘটনা। গোটা ঘটনায় মহারাষ্ট্রর আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার পরেই ছুটে যায় পুলিশ। পুলিশ কর্তারা তদন্তে নেমেছেন। এলাকা থমথমে। সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে যান।
মুম্বই গুলি চালানোর ঘটনায় উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের পদত্যাগ দাবি করেছেন উদ্ধব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত।
অভিষেক ছিলেন উদ্ধবের দলের পুরনো দিনের নেতা বিনোদ গোশলকরের ছেলে। তিনি মুম্বই বিল্ডিংস রিপেয়ার্স অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। অভিষেকের স্ত্রীও কর্পোরেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মরিসভাই নামে পরিচিত মরিস নরোনহার অফিসে হামলা হয়েছিল, যার সঙ্গে অভিষেকের কিছু ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল। তবে সম্প্রতি তারা সম্পর্কে মেরামতি করেছেন এবং অভিষেককে একটি অনুষ্ঠানে মরিস নরোনহার অফিসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মৌরিস ভাই ঘোসালকরকে গুলি করার আগে পুরো ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিম করা হয়।
উদ্ধব সেনার মুখপাত্র আনন্দ দুবে বলেন, একনাথ শিন্ডে-দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মহারাষ্ট্রে কেউ সুরক্ষিত নয়। একজন জনপ্রতিনিধি যদি নিরাপদ না থাকেন, তাহলে জনগণের অবস্থা কী হবে? সরকার কি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে? সঞ্জয় রাউত বলেছেন, সরকার পেশীশক্তিকে লালন করছে। আজ আমরা তার প্রমাণ দেখলাম। আমাদের প্রাক্তন কর্পোরেটর জীবনের জন্য লড়াই করছেন। আর সরকার রামরাজ্যের কথা বলে।
(মুম্বই ব্যুরো থেকে ইনপুট সহ)