সোমবার শেয়ার বাজারে বড়সড় ধাক্কা খেল আদানি গ্রুপ। প্রাথমিকভাবে পাঁচ থেকে ১৮ শতাংশ পড়ে যায় শেয়ার। পরে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই আদানি গ্রুপের শেয়ার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে গিয়েছে।
ইকোনমিকস টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনটি বিদেশি তহবিলের অ্যাকাউন্টের লেনদেনে বন্ধ করে দিয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপজিটোরি লিমিটেড (এনএসডিএল)। যেগুলির আদানি গ্রুপের চারটি সংস্থায় ৪৩,৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। গত ৩১ মে'র আগে বা পরে সেই অ্যাকাউন্টগুলি ‘ফ্রিজ’ (লেনদেন বন্ধ) করে দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বেনিফিসিয়াল মালিকানা (যে ক্ষেত্রে অন্যের নামে সম্পত্তির একটা অংশ থাকলেও অপর কোনও ব্যক্তি মালিকানার সুবিধা পান) সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য না জানানোর জন্যও সেই তিনটি বিদেশি তহবিলের অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করা হতে পারে।
সেই খবরের মধ্যেই সোমবার বাজার খোলার পর বড়সড় ধাক্কা খায় আদানি গ্রুপ। পিটিআই জানিয়েছে, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার প্রায় ২৫ শতাংশ পড়ে হয়েছে ১,২১০.১। যা প্রায় ১০ বছরে সবথেকে বেশি পতন। জোরালো ধাক্কা সইতে হয়েছে আদানি পোর্ট এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোনকেও। কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর আগে পর্যন্ত সোমবার সকালে প্রায় ১৯ শতাংশ পড়েছে আদানি পোর্ট এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোনের শেয়ার। আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি ট্রান্সমিশন এবং আদানি পাওয়ার শেয়ার পাঁচ শতাংশের মতো পতনের সাক্ষী থেকেছে।
যদিও পরে আদানি গ্রুপের তরফে দাবি করা হয়, তিনটি বিদেশি তহবিলের অ্যাকাউন্টের লেনদেনে বন্ধ করে দেওয়ার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরোপুরি 'ভুয়ো'। ইচ্ছাকৃতভাবে লগ্নিকারীদের বিভ্রান্ত করতে সেই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।