আদানি গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না সেবি। এনিয়ে এবার এনিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সেবি এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত পৌঁছতে পারছে না। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সেবি। তবে একমাত্র জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় ব্যবসায়ী গ্রুপকে আড়াল করার জন্য নানা চেষ্টা করা হচ্ছে।
জয়রাম রমেশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সেবি এই কেলেঙ্কারি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না। আদানি গ্রুপ যে কেলেঙ্কারি ও আর্থিক প্রতারনা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সেবি। ওরা সুপ্রিম কোর্টে যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট সমস্যা সঙ্কুল।
এদিকে কংগ্রেস নেতার দাবি, সেবি বলছে যে অভ্যন্তরীন তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, সেবির সিদ্ধান্ত অনুসারে গোটা দেশকে বিরাট মূল্য দিতে হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। বিদেশ থেকে যে বেনামি টাকা এসেছিল তার সোর্সকে কি খুঁজে পাবে সেবি? তিনি জানিয়েছেন, সেবি কি ২০০০০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি যা বিদেশ থেকে আদানির কাছ থেকে এসেছে তার সোর্স কি খুঁজে পাবে?
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, একমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি করলেই বোঝা যাবে মোদী তাঁর প্রিয় ব্যবসায়ী গ্রুপকে সহায়তা করতে কীভাবে যাবতীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন।
এদিকে সেবি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা তদন্ত শেষ করে ফেলেছে। কিন্তু আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ নিয়ে তারা কিছু করতে পারেনি। কারণ বিদেশ থেকে ঠিক কারা বিনিয়োগ করেছে তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত মার্কিন হিন্ডেনবার্গের রিসার্চ রিপোর্ট গত ২৪ জানুয়ারি তারিখে দাবি করা হয়েছিল, আদানি একাধিক আর্থিক প্রতারণা, শেয়ারের দাম বৃদ্ধির জন্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছিল। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিদেশে বেনামি সংস্থা খুলে নিজেদের শেয়ার নিজেরাই কিনে নিত আদানি গোষ্ঠী। এভাবে বাজারে ভুয়ো চাহিদা সৃষ্টি করে শেয়ারের দাম চড়ানো হত। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী। তারপরই এনিয়ে তদন্ত চালানো হয়েছিল। তবে হিন্ডেনবার্গের ওই রিপোর্ট পুরোপুরি নস্যাত করে দেয় আদানি গ্রুপ।