শুরু হল আদিত্য এল১ সৌর অভিযান লঞ্চের লাইভ স্ট্রিমিং। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ১১টা ২০ মিনিট থেকে আদিত্য-এল১ মিশনের সরাসরি সম্প্রচার শুরু হবে। অর্থাৎ উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট আগে থেকে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সরাসরি সম্প্রচার শুরু হয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর ইউটিউব পেজ, ইসরোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, ইসরোর ফেসবুক পেজ, টিভিতে ডিডি ন্যাশনাল চ্যানেল, হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এবং হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে দেখা যাচ্ছে আদিত্য-এল১ মিশনের উৎক্ষেপণের সরাসরি সম্প্রচার। (আদিত্য এল১ লঞ্চের লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে) নীচে দেখুন লঞ্চের লাইভ স্ট্রিমিং:
প্রসঙ্গত, পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে ভারতের প্রথম সৌরযান। বেঙ্গালুরুর ইউআর রাও স্য়াটেলাইট সেন্টারে তৈরি হয়েছে এই আদিত্য এল১ স্যাটেলাইট। সূর্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য আদিত্য-এল১ উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। উৎক্ষেপণের পর এই উপগ্রহটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে বেশ কয়েকবার। তারপর এই বিশ্বের মায়া কাটিয়ে এটি সূর্যের দিকে পাড়ি দেবে। সান-আর্থ সিস্টেমের হ্যালো অরবিটের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১-এ পৌঁছতে এই আদিত্যকে মহাকাশে পাঠানো হবে বলে জনা গিয়েছে। পৃথিবী থেকে এই স্থান ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে।
গন্তব্যে পৌঁছতে আদিত্য এল১-এর লাগবে প্রায় চার মাস বা ১২৫ দিন। এটি এরপর পাঁচবছর ধরে সূর্যের ওপর ‘নজর’ রাখবে। এই স্যাটেলাইটের মূল পেলোডটি তৈরি করেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। তাছাড়া আরও ছ'টি পেলোড ভারতেরই অন্যান্য সংস্থা তৈরি করেছে। ইসরোর প্রদান করা তথ্য অনুযায়ী, ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১-এ পৌঁছে সূর্যের উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় (ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা) গতিবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করবে আদিত্য। ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা কীভাবে উত্তপ্ত হয়, তা নিয়ে গবেষণা করা হবে এই মিশনে। সেইসঙ্গে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আংশিকভাবে আয়োনাইজড প্লাজমার পিছনে কী বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে, তা নিয়েও গবেষণা চালানো হবে আদিত্য-এল১ মিশনে। বিভিন্ন যে সৌর বিস্ফোরণ ঘটে থাকে, তাও খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে সূর্যের করোনার জিওম্যাগ্নেটিক দিক নিয়েও পরীক্ষা চালাবে ইসরোর আদিত্য এল১ স্যাটেলাইট। সূর্যের জিওম্যাগ্নেটিক কারণে সৌরঝড় হয়ে থাকে। তার জেরেই ২০২২ সালে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন ইলন মাস্ক। তাঁর সংস্থা স্পেস এক্স-এর ৪৯টি স্যাটেলাইটের মধ্যে ৪০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেবারে। এই আবহে ভারতীয় সৌরযানের গবেষণার দিকে চোখ থাকবে এই ধনকুবেরের। পরবর্তীতে যাতে তাঁর সংস্থা এই ধরনের লোকসানের মুখে না পড়ে, তার একটি সমাধান সূত্র হয়ত আদিত্যর পরীক্ষার থেকেই বেরিয়ে আসতে পারে।