সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দরের এক ভাইরাল ছবিতে দেখা যায় যে এক শিশুকে উঁচু দেয়ালে থাকা কাঁটাতার পার করিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকাচ্ছেন এক মার্কিন জওয়ান। এক বিবৃতি প্রকাশ করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলল। জানানো হল, শিশুটিকে কাবুল বিমানবন্দরের ভিতরে রাখতে বলেছিলেন তার অভিভাবকরা কারণ তার শরীর খারাপ করেছি অত ভিড়ে। এরপর বিমাবন্দরের ভিতরে এক হাসপাতালে সেই শিশুকে নিয়ে যান জওয়ানরা। বর্তমানে সেই শিশুকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই শিশু এখনও সম্ভবত আফগানিস্তানেই রয়েছে। কারণ শিশুর অভিভাবককে বিমানবন্রে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল কি না তা স্পষ্ট করা হয়নি।
আফগানিস্তান তালিবানের দখল যাওয়ার পর থেকেই কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একাধিক মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে। আফগানদের তালিবানি শাসন থেকে বাঁচতে মরিয়া চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে। এরই মাঝে দেখা গিয়েছে, নিজে না বাঁচতে পারলেও নিজেদের সন্তানকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন আফগান অভিভাবকরা। বিভিন্ন ভআইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে যে মায়েরা নিজের সন্তানদের কাঁটাতারের উপর ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন বিমানবন্দরে। সেই শিশুদের ধরে বিমাবন্দরের ভিতরে ঢোকাচ্ছেন জওয়ানরা।
এই সব ছবি, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বিমানবন্দরের অরাজকতা এবং উদ্ধার কাজের প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রশাসনের আগের থেকে কোনও পরিকল্পনা না থাকার বিষয়টি সমালোচিত হয়েছে। প্লেনের চাকা থেকে পড়ে, পদপিষ্ট হয়ে এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাও মরিয়া আফগানদের দেখা গিয়েছে হাজারে হাজারে বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করতে। অপরদিকে আফগানদের বিমানবন্দরে আসতে দিচ্ছে না তালিবান।
এদিকে এহেন অরাজকতা এবং কাতর দৃশ্য দেখে মানসিক ভাবে নাকি জওয়ানরা ভেঙে পড়েছেন। এক ব্রিটিশ সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন যে বহু জওয়ান রাতে কেঁদেছেন এই পরিস্থিতি পুরোপুরি মেনে না নিতে পেরে। অনেক শিশু নাকি কাঁটাতারে আঘাত পেয়েছে। তবে সন্তানদের তালিবানি শাসন থেরে দূরে পাঠিয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচাতে যে কোনও উপায় অবলম্বন করতে দেখা গিয়েছে আফগানদের।