ইস্তফা দিতে চলেছেন আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি। তালিবানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ইতিমধ্যে আফগান রাষ্ট্রপতির বাসভবন চলছে। সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে আলি আহমেদ জালালির নাম উঠে এসেছে। আফগানিস্তানের সবথেকে বড় সংবাদসংস্থা খাম্মা প্রেসের তরফে সে কথা জানানো হয়েছে।
এমনিতে রবিবার কাবুলের শহরতলিতে পৌঁছে গিয়েছে তালিবান। এই পরিস্থিতিতে সরকারি অফিসগুলি থেকে সরকারি কর্মচারীরা পালাতে শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বহু স্থানে আফগান কমান্ডাররা আত্মসমর্পণ করেছে বলে দানা গিয়েছে। এদিকে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এপি-কে তালিবান জানিয়েছে যে কলকান, কারাবাঘ এবং পাঘমান প্রদেশে পৌঁছেছে তালিবান যোদ্ধারা। রাজধানী কাবুলকে নাকি কার্যত ঘিরে ফেলেছে তালিবান।
আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে তালিবানের হাতে পুরো আফগানিস্তানে চলে যাচ্ছে। ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়ার প্রক্রিয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, তালিবান দাবি করেছে যে ‘যোদ্ধাদের’ আপাতত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উপকণ্ঠে থাকতে বলা হয়েছে। সরকারের তরফে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সেইসঙ্গে আপাতত যাবতীয় হিংসার দায়ভার আফগান সরকারের দিকে ঠেলে তালিবানের বক্তব্য, ‘হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কাবুলের সুরক্ষার দায়িত্ব অপর পক্ষের (আফগান সরকারের) দিকে আছে।’
কূটনৈতিক মহলের মতে, রাষ্ট্রপতির কুর্সিতে ঘানি মেরেকেটে কয়েক ঘণ্টা টিকবেন। সেটা বড়জোর কয়েকদিন হতে পারে। তারইমধ্যে কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঘানির পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন প্রাক্তন আফগান মন্ত্রী জালালি। যিনি জার্মানিতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতও ছিলেন।
এমনিতে কর্মজীবন জালালি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। কাবুলে জন্মগ্রহণ করলেও ১৯৮৭ সাল থেকে আমেরিকার নাগরিক তিনি। ২০০৩ সালে আফগানিস্তানে ফিরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে ২০০৪ সালে আবারও সেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন। সেনায় কর্নেলও ছিলেন জালালি। যিনি সোভিয়েত অভ্যুত্থানের সময় পেশোয়ারে আফগান রেসিসট্যান্স হেডকোয়ার্টাসের শীর্ষ উপদেষ্টা ছিলেন।