তামিলনাড়ুতে এই প্রথম কোনও রূপান্তরকামীকে পঞ্চায়েত সেক্রেটারি হিসাবে নিয়োগ করা হল। তবে এজন্য তাঁকে অনেকটা পথ পেরতে হয়েছে। ২০১৫ সালে সান্থারাজ পদত্যাগ করে লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অপারেশন করানোর উদ্যোগ নেন। এতদিন তিনি পুরুষ হিসাবেই কাজ করতেন। এবার তিনি নতুন নাম নেন দক্ষায়িনী। কিন্তু মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে নানা সমস্যা। অগত্যা সরকারি কাজ ছেড়ে তিনি অন্যত্র চলে যান। তাঁর শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হচ্ছে এই কারণ দেখিয়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন।
তবে জেলাশাসক আলবি জন এবার ওই রূপান্তরকামী মহিলাকে ফিরিয়ে আনলেন স্বপদে। তিনি জানিয়েছেন লিঙ্গ বৈষম্য রাখতে চাই না আমরা। সেকারণেই এই পদক্ষেপ। লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য তিনি মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় পড়েছিলেন। সেকারণেই তিনি দীর্ঘদিন অফিসে আসেননি। তবে আমরা চাই যাবতীয় সংস্কারমুক্ত হয়ে আরও বেশি রূপান্তরকামীদের যেন সরকারি ও বেসরকারি অফিসে চাকরি দেওয়া হয়।
এল্লাপুরম ব্লকের কদুভেলি পঞ্চায়েতের সচিব ছিলেন তিনি।তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯ বছর। একদিন আচমকাই তিনি চাকরি ও বাড়ি দুটি ছেড়েই অন্যত্র চলে যান। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি জানিয়েছেন, আমার কোনও স্বাধীনতা ছিল না। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে সব লুকিয়ে রাখতাম। যখন বড় হই কেউ বিশেষ কথা বলত না। একজন পুরুষ হিসাবেই কাজে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কতদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখব? আমার হরমোন ও শরীরের পরিবর্তন হচ্ছিল। পরে চেন্নাইতে তার অপারেশন হয়। বাড়ির লোকজনও মেনে নেন বিষয়টি। চেন্নাইতে কিছুদিন তিনি বেসরকারি জায়গায় কাজ করেছিলেন। সেখানেও নানা হেনস্থার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপর তিনি কাজে ফিরতে চেয়ে সরকারকে চিঠি দেন। সরকারও তাঁর আবেদন গ্রহণ করেছে।