কাতার বিশ্বকাপের বয়কটের ডাক দিয়ে এসেছে পশ্চিমা দেশগুলির বহু মানুষ। মূলত কাতারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সামনে আসতেই সুর চড়িয়েছেন অনেকে। জার্মানিতে বহু পানশালায় বিশ্বকাপ সম্প্রচার করা হচ্ছে না। বিতর্কের মাঝে বহু প্রাক্তন ফুটবলারও সরব হয়েছেন। এরই মাঝে পুরো বিপরীত এক কারণে ফুটবল বিশ্বকাপ এড়িয়ে যাওয়ার বার্তা দিল জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা। ইয়েমেন ভিত্তির ‘আল-কায়দা ইন আরব পেনিনসুলা’র কথায়, ‘বিশ্বকাপের নামে কাতারে বহু অনৈতিক মানুষ ঢুকে পড়েছেন।’ এই আবহে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এক ‘হুমকি চিঠি’ পাঠিয়ে বিশ্বকাপ বাতিলের ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনটি।
সরাসরি হামলা কিংবা সহিংসতার কোনও হুমকি না দিলেও আল-কায়দা বলে, ‘আমরা মুসলিম ভাইদের কাছে আবেদন করছি যাতে বিশ্বকাপের আসরে তারা অংশ না নেন এবং এটা যাকে বন্ধ করা হয়। একটি মুসলিম দেশে এই ধরনের প্রতিযোগিতার আসর বসানো উচিত না।’ জঙ্গি সংগঠনের কথায়, বিশ্বকাপের ফলে কাতারে আসবে সমপ্রেমী, দুর্নীতিবাজ, অধার্মিকরা। এই কারণেই বিশ্বকাপ বন্ধের ডাক দিয়েছে আল কায়দা।
এদিকে আল-কায়দার এই হুমকি প্রসঙ্গে কাতার প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, দেশের প্রশাসন এবং মানবাধিকার কমিশন সবার নিরাপত্তাকে সমান গুরুত্ব সহরাকে দেখে। তাই জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্য না করে সকলকে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ৩০ লাখ মানুষের দেশ কাতারে বিশ্বকাপর সময় ১৫ লাখেরও বেশি বিদেশির আগমন ঘটবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই আবহে বিশ্বকাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় ৫০ হাজার প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকবেন।