গুরগাঁওয়ের শীর্ষাতে চৌধুরী দেবীলাল ইউনিভার্সিটিতে এক অধ্য়াপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর চেম্বারে ডেকে নিয়ে গিয়ে তিনি ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ। প্রায় ৫০০জন পড়ুয়া এনিয়ে হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী, রাজ্যপাল ও মহিলা কমিশনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। দিনের পর দিন ধরে পড়ুয়াদের এভাবে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
এদিকে সেই চিঠির কপি ঘুরছে সোস্য়াল মিডিয়ায়। ক্ষোভে ফুঁসছেন ছাত্রছাত্রীরা। এনিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দলও তৈরি করা হয়েছে। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও প্রায় তিনটি এই ধরনের চিঠি পড়ুয়ারা লিখেছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্য়ন্তরীন কমিটি এনিয়ে দুবার তাঁকে ক্লিন চিট দিয়েছিলেন। ফের এনিয়ে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা।
এদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করা হচ্ছে। আমাকে টার্গেট করা হচ্ছে কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কিছু কাজ করেছি। আমি যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। এটা কিছুই নয়, এটা হল একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য়ে করা হয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, যে চারটি চিঠি লেখা হয়েছে সবগুলিই হিসার রোডের খয়েরপুর পোস্ট অফিস থেকে পোস্ট করা হয়েছিল।
প্রথম চিঠিটি গত বছর জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় একটা তদন্ত করে দেখেছিল। কিন্তু তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর গত নভেম্বর মাসে আরও দুটি চিঠি রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ডিসেম্বর মাসেও চিঠি পাঠানো হয়। এরপর রাজ্যপালের অফিস থেকে ফের বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে তদন্ত করে দেখা হয়। কিন্তু তখনও তদন্ত করে খারাপ কিছু মেলেনি।
গত সপ্তাহে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ওই স্যার ছাত্রীদের খারাপভাবে স্পর্শ করেন। সেখানে বলা হয়েছে, তিনি এক এক করে অফিসের বাথরুমে ছাত্রীদের ডাকেন। এরপর খারাপভাবে স্পর্শ করেন। প্রতিবাদ করলে তিনি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এমনকী সিসি ক্যামেরার ফুটেজও তিনি নষ্ট করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা চিঠিতে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। আমরা ন্যায় বিচার চাইছি।