সংসদের সেন্ট্রাল হলে বক্তব্য রাখছিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় দলের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী । বক্তব্যে তিনি মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি জানান, একাধিকবার সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল আনা হয়। তা কখনও লোকসভায় পাশ হয় তো রাজ্য গিয়ে আটকে গিয়েছে। কখনও আবার রাজ্যসভা পাশ হলেও লোকসভায় আটকেছে। এই তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কংগ্রেস সাংসদ বলেন' একাধিক প্রধানমন্ত্রীর আমলেই সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করা হয়েছিল। রাজীব গান্ধী, পিভি নরসিমা রাও এবং মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সংসদে পেশ হয় এই বিল। কিন্তু কখনও লোকভায় পাশ হলেও তা রাজ্যসভায় আটকে যায়। আবার কখনও তা রাজ্যসভায় পাশ হলে লোকসভায় আটকে গিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর আমলে এই বিল আনা হয় যিনি এখনও জীবিত রয়েছেন। এটি রাজ্যসভায় পাশ হয়।' তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন,'কংগ্রেস ওয়ার্কি কমিটিতে এই বিলটি পাশ করানো নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। এমন কী প্রাক্তন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী এই বিলটি গুরুত্ব জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠিও লেখেন।'
(পড়তে পারেন। ‘সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতিকে কেন ডাকা হল না?’ ডেরেক-সাকেতের নিশানায় মোদী সরকার)
(পড়তে পারেন। নির্বাচনী জুমলা! মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে সতর্ক পা ফেলছে JDU, সমর্থন করবে?)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর বিরোধিতা করে বলেন,'দুটি তথ্যগত ভাবে ভুল বক্তব্য রখেছেন অধীর চৌধুরী। তাঁকে হয় এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, না হয় তাঁকে প্রমাণ আনতে হবে।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তিনি বলেছেন, লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছিল। এই তথ্য সঠিক নয়। লোকসভায় কখনই মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়নি। তিনি আরও বলেছেন পুরনো বিলটি এখনও লোকসভায় রয়েছে। ২০১৪ সাল লোকসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলটিও শেষ হয়ে গিয়েছে।'
(পড়তে পারেন। পেশ হল ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’, সংরক্ষণ বিল নিয়ে নিজের পালে হাওয়া টানলেন মোদী)
প্রসঙ্গত, সোমবার বিলটিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। বিলটি পাশ হলে সংসদ এবং বিধানসভা মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ থাকবে।