অনেকেই তো ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান। কিন্তু এমন ভাগ্য কতজনের হয়? গত কয়েকবছর আগে পেটের টানে মিশরে রওনা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের যুবক গোলাম সারোয়ার। আর মিশরে গিয়েই যেন ভাগ্যের দরজা খুলে গেল যুবকের। কাজও পেলেন তিনি। আর তার পরপরই আলাপ হল মনের মানুষের সঙ্গে। প্রথমে বন্ধুত্ব। তারপর প্রেম। আর তারপর চার এক হল তাঁদের। একেবারে রূপকথার মতোই। সেই ডালিয়াই এখন গোলামের অর্ধাঙ্গিনী। ২০২০ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। এরপর নানা কারণে দেশে ফিরতে পারেননি তাঁরা। তবে এবার দেওয়ালির আগে একেবারে বিদেশিনি বউকে নিয়ে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে নিজের বাড়িতে ফিরে এলেন তিনি।
আর এখন সেই মেম বিদেশিনি বউকে দেখার জন্য বাড়িতে একেবারে ভিড় উপচে পড়ছে। একে তো বিদেশি। তার উপর বেশ সুন্দরী ডালিয়া। আসলে যে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন গোলাম তার পাশেই বাড়ি ডালিয়াদের। ডালিয়ার ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল গোলামের। সেই সুবাদেই ডালিয়ার সঙ্গে দেখা। আর সেই দেখা থেকেই প্রেমের জন্ম। এরপর বিয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিয়েতে রাজি ছিল না ডালিয়ার পরিবার। অবশেষে তাঁদেরকে বোঝান ডালিয়া।
সেই ডালিয়াকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন গোলাম। পুত্রবধূকে দেখে একেবারে হতবাক গোলামের পরিবারের সদস্যরা। তবে বধূর ভাষা বুঝতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে কিছুটা। কিন্তু তাঁর ব্যবহারে মুগ্ধ তাঁরা। পাড়া প্রতিবেশীরাও একেবারে দল বেঁধে দেখতে আসছেন ডালিয়াকে। তাঁদের অনেকেই বলছেন কী ভাগ্য!