দেশ পালন করছে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ। যে স্বাধীনতা এসেছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ২০০ বছরের অক্লান্ত এক সংগ্রামের পর। স্বাধীনতার স্বাদ যখন ভারত পেয়েছিল, তখন দেশ বিভক্ত। তার আগের সময়ের কঠিন অত্যাচার, প্রবল লড়াইয়ের ইতিহাসটা যেকোনও ভারতীয়ের কাছেই একটা কালো সময়ের দলিল। সেই ভারতেরই বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক ২০২২ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হচ্ছেন।
ঋষি সুনাকের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনায় হইচই শুর হয়েছে নেটমহলে। এই তথ্য় যেদিন ঘোষিত হয়েছে সেই দিনটি দীপাবলি। গোটা দেশ মেতেছিল আলোর উৎসবে। সব মিলিয়ে বহু আবেগে ভেসেছেন বহু ভারতীয়। এরই মাঝে শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রার টুইট ভাইরাল হতে শুরু করে। তিনি তুলে ধরেছেন ১৯৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনত হয়েছিল, তখন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল কী বলেছিলেন, তার কথা। মহিন্দ্রা লিখছেন, ‘চার্চিল বলেছিলেন’ সমস্ত ভারতীয় নেতারা হবেন অনুপযুক্ত ও দুর্বল। চার্চিলের বক্তব্য ছিল ভারতীয় নেতারা হবেন ‘মেন অব স্ট্র’। সেই চার্চিলের দেশ ব্রিটেনে আজ প্রধানমন্ত্রী একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এখানেই শেষ নয়, ঋষি সুনাক, দেশের নামী শিল্পপতি ও প্রযুক্তিবিদ নারায়ণ মূর্তির জামাই। সব মিলিয়ে ঋষির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের খতিয়ান ফের একবার বহু ভারতীয়কে ১৯৪৭ সালের আগের সময়টার ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
আনন্দ মহিন্দ্রার এই টুইট ইতিমধ্যে ৮৩.৯ হাজার লাইক পার করে গিয়েছে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের ৭৫ বছর স্বাধীনতার পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে ব্রিটেন পেল সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। কালের চক্রে নীরবে লেখা এমন এক স্ক্রিপ্ট নিয়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, লিজ ট্রাস কনসারভেটিভ পার্টির প্রধান পদ ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতেই ঋষিই এগিয়েছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে। সেই মতো তিনিই এবার ব্রিটিশ প্রশাসনের তাপড় অংশ হতে চলেছেন।