ভারতে তাদের ভাইস প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করল অ্যাপল-এর সহযোগী সংস্থা উইস্ট্রন। পাশাপাশি, কর্মীদের বেতন বকেয়া রাখার কথাও স্বীকার করেছে সংস্থা। বেঙ্গালুরুর কাছে উইস্ট্রনের কারখানায় কর্মী অসন্তোষের জেরে ক্ষতি হয়েছে কয়েক লক্ষ ডলারের।
শনিবার উইস্ট্রন-এর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের নরসাপুর কারখানার দুঃখজনক ঘটনার তদন্তে জানতে পেরেছি যে, বেশ কিছু কর্মী সঠিক ও সময়মাফিক বেতন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা এর জন্য অত্যন্ত দুঃখিত এবং সকল কর্মীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কারখানাটি নতুন এবং আমরা বুঝতে পেরেছি যে ব্যবসা বৃদ্ধির সময় আমরা ভুল করেছি। বোঝা গিয়েছে, কর্মী সংগঠন সামলাতে গিয়ে এবং কর্মীদের বেতন দেওয়া নিয়ে আমাদের কিছু ব্যবস্থা আরও মজবুত করা ও সংস্কার করার প্রয়োজন হয়েছে। শৃঙ্খলা রক্ষা-সহ অবিলম্বে আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ করছি। ভারতে আমাদের ব্যবসার তদারকিতে নিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না দেখা দেয়, সেই কারণে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ করছি ও নীতি সংস্কার করছি।’
ভিপি ভিনসেন্ট লি-কে সরিয়ে দিলেও জানা গিয়েছে, ভারতে তাদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুদীপ্ত গুপ্তকে বহাল রাখছে উইস্ট্রন।
সংস্থার তরফে আরও বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে সবার আগে কর্মীদের সব বকেয়া অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উইস্ট্রন। পাশাপাশি, কর্মীদের সুবিধার্থে একটি কর্মী সহায়ক প্রক্রিয়াও চালু করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মীদের অভিযোগ শুনতে কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি ও ইংরেজিতে হটলাইন চালু করতে চলেছে উইস্ট্রন।
উইস্ট্রন-এর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ এর আগেই তুলেছিল কর্নাটক শ্রম দফতর। সরকারি অনুসন্ধানে ধরা পড়েছিল, কর্মীদের হাজিরা ও বেতনের নথি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য যথাযথ সংরক্ষণ করা হয় না। একই সঙ্গে সংস্থার বিরুদ্ধে কর্মীদের ১২ ঘণ্টা কাজ করানোর অভিযোগও আনে শ্রম দফতর।
কোলারে তাদের কারখানায় ২,৮৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উইস্ট্রন এবং সেখানে ১৮,০০০ কর্মীকে নিয়োগের কথাও বলা হয়েছিল। বর্তমানে ওই কারখানায় ১০,০০০ কর্মী রয়েছেন। স্মার্টফোন, আইওটি পণ্য ও বায়োটেক যন্ত্রাদি তৈরিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে সেখানে।
উইস্ট্রন-এর কর্মী বিক্ষোভের তদন্ত শুরু করেছে অ্যাপলও। এই কাজে সংস্থার অতিরিক্ত অ্যাপল টিম পাঠানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে। তদন্তের কাছে পূর্ণ সহযোগিতা করতে চায় অ্যাপল।