কয়েকদিন পরেই চিন সফরে যেতে চলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর তার আগেই নিজের দেশে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হল তাঁকে। নেপথ্যে পাক সেনার উপর বালোচিস্তানের স্বাধীনতাকামীদের হামলা। পাক সেনার দুই ক্যাম্পে বালোচ স্বাধীনতাকামীরা হানলা চালায়। এই হামলার জেরে অন্তত পক্ষে ৫০ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বালোচ যোদ্ধারা। অপরদিকে পাক সেনা অবশ্য দাবি কেরছে যে এই হামলায় ৪ জন পাক সেনা প্রাণ হারিয়েছে। পাশাপাশি পাক সরকারের দাবি, সেনার জবাবি হামলায় ১৫ বালোচ বিদ্রোহী প্রাণ হারিয়েছে। এদিকে বহু পাক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বিদ্রোহীদের হামলায় ১০০ জন পাক সেনার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
জানা গিয়েছে, বালোচিস্তানে প্রদেশের পাঞ্জগুর জেলায় অবস্থিত সেনার দুই ক্যাম্পে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। এদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ একটি ভিডিয়ো বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বড় ধরনের হামলা নস্যাৎ করেছে। এছাড়া তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। বালোচিস্তানের পাঞ্জগুর এবং নোশকিতে এই হামলার পর সেনাবাহিনীর ১৫ বিদ্রোহীকেও নিহত করেছে।’ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর বলছে, ‘সেনাবাহিনী ওই এলাকায় ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু করেছে যাতে এই সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা যায়।’
বালোচ বিদ্রোহী সংগঠন বালোচ ন্যাশনাল আর্মি রয়টার্স সংবাদ সংস্থার কাছে দাবি করেছে যে তাদে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা পাকিস্তানি সেনা ঘাঁটিতে হামলা করেছে, যাতে ৫০ জনেরও বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে গোয়াদরেও বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছিল। এতে পাকিস্তানের ১০ সেনা নিহত হয়। আরব সাগরের কাছে গোয়াদর বন্দরের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। চিনের সহায়তায় এই বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরেরও অংশ।