ত্রিপুরায় সিপিএমের পার্টি অফিসে আক্রমাণের ঘটনায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সীতারাম ইয়েচুরি দাবি করেন যে এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এবং এই হামলার প্রেক্ষিতে তিনি সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি চিঠিতে লেখেন, 'পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বিজেপির কর্মীরা ত্রিপুরায় সিপিএমের রাজ্য সদর দফতর সহ প্রচুর অফিসে হামলা চালিয়েছে।'
সীতারাম ইয়েচুরি অভিযোগ করেন, উদয়পুর মহকুমা অফিস, গোমতী জেলা কমিটি অফিস, সেপাহিজালা জেলা কমিটির কার্যালয়, বিশালগড় মহকুমা কমিটির কার্যালয়, সাঁতার বাজার মহকুমা অফিস, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটি অফিস এবং সদর মহকুমা কমিটির অফিসে হামলা চালানো হয় বিজেপির তরফে।
সীতারাম ইয়েচুরি চিঠিতে অভিযোগ করেন, 'সবচেয়ে নির্মম ভাবে হামলা করে হয়েছিল আগরতলায় রাজ্য কমিটির অফিসে। তারা অফিসের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও ফার্স্ট ফ্লোরে ভাঙচুর করে, অফিসের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং ত্রিপুরার জনগণের শ্রদ্ধেয় নেতা দশরথ দেবের মূর্তিও ভেঙেছে। সিপিআইএমের অনেক নেতাকর্মীর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে বা আগুন লাগানো হয়েছে।'
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ত্রিপুরাতে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিজেপি ও সিপিএম-এর কর্মী ও সমর্থকরা। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ত্রিপুরা নিয়ে তৎপরতা বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। বাংলা থেকে নেতা, কর্মীরা ঘন ঘন ত্রিপুরায় যাচ্ছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। এরই মাঝে সিপিএম বিজেপি বিরোধিতার সেই স্থানটা হারিয়ে ফেলছিল। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা, কর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই নাম জড়িয়েছে বিজেপির।