তারকা কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া
সম্প্রতি শাসকদল বিজেপির সাংসদ তথা কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন অলিম্পিকে মেডেল জয়ী কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া। সেই বজরং পুনিয়াই আবার হিন্দু সংগঠন বজরং দলের সমর্থনে পোস্ট করে রোষের মুখে পড়েন। পরে বিতর্ক এড়াতে নিজের পোস্ট ডিলিট করে দেন বজরং। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কর্ণাটকে নিজেদের নির্বাচনে ইস্তেহারে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে তারা পিএফআই এবং বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। এই ঘোষণা নিয়ে দলের অন্দরেই অনেক বিরোধ রয়েছে। এদিকে যন্তর মন্তরে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা সামিল হচ্ছেন। আর এরই মাঝে বজরং পুনিয়া নীজের 'বজরং দল প্রীতি' দেখিয়ে বিতর্কে জড়ালেন।
বজরং সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে হনুমানজির একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে লেখা ছিল, 'আমি বজরঙি। আমি বজরং দলকে সমর্থন করি। জয় শ্রী রাম।' পাশাপাশি তিনি সবাইকে আবেদন করেন যাতে সবাই নিজের হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিসপ্লে পিকচারে বজরংবলীর ছবি লাগায়। পরে সেই পোস্টটি তিনি ডিলিট করে দেন। বহু নেটিজেন বজরং দলকে 'জঙ্গি সংগঠন' আখ্যা দেয়। এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, 'সমস্যায় বজরং পুনিয়াকে সমর্থন করুন। অবসর সময়ে তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করুন।' অপর এক টুইটারাটি লেখেন, 'এরপরে সাংবাদিকরা যেন সব কুস্তিগীরকে প্রশ্ন করেন যে তাঁরা বজরং দলকে সমর্থন করেন কি না। আমাদেরও জানতে হবে যে আমরা কি সেই সব কুস্তিগীরদের সমর্থন করছি, যাঁরা আমাদের হত্যাকারীদের সমর্থন করেন।' এদিকে বিতর্কের মুখে বজরং পুনিয়া নিজের পোস্ট ডিলিট করায় এবার তিনি আরএসএস-এর এবং হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরন সিংয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাটরা প্রতিবাদ জারি রেখেছেন। বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে দু'টি মামলা। পুলিশের কাছে নির্যাতিতা কুস্তিগীররা অভিযোগ করেছেন, টুর্নামেন্ট, ওয়ার্ম আপ এমনকি ডাব্লুএফআই অফিসে অনুপযুক্তভাবে তাঁদের শরীর স্পর্শ করেছিলেন ব্রিজ ভূষণ। দুই অভিযোগকারী কুস্তিগীর পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের শ্বাস-প্রশ্বাস বা দম ধারণের ক্ষমতা পরীক্ষা করার অজুহাতে অনুপযুক্তভাবে স্তন স্পর্শ করতেন ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং।