মায়ানমারের যুদ্ধের আঁচ বারবার এসে লাগছে বাংলাদেশের গায়ে। সেই দেশে রোহিঙ্গা এবং মায়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘোরতর যুদ্ধ লেগেছে। গোলা বারুদ এসে একাধিক বার বাংলাদেশে পড়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেকেই। বাংলাদেশের সরকার বারংবার সেনাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন এই পরিস্থিতিতে। আর তার মধ্যেই ওপার বাংলার হাতে এল নতুন যুদ্ধ বিমান।
দ্বিতীয় কাসা সি ২৯৫ ডাব্লিউ মিডিয়াম ইউটিলিটি প্লেন অন্তর্ভুক্ত হল বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশন গ্রুপে। স্পেনে নির্মিত হয়েছে এই বিমান। তেজ গাঁওয়ের পুরনো বিমান বন্দরের একটি অনুষ্ঠানে এই বিমানটি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়। এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের জেনারেল সেদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফানসিস্কো দে আসিস বেনিতেজ সালাস। বিজিবি, র্যাব আধিকারিক, সহ একাধিক ব্যক্তিত্বও উপস্থিত ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। সেদিন এই যুদ্ধবিমানটিকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
বাংলাদেশের হাতে এই যুদ্ধবিমান, দ্বিতীয় কাসা সি ২৯৫ ডাব্লিউ মিডিয়াম ইউটিলিটি প্লেন আসাতে মনে করা হচ্ছে যে এই দেশের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে। প্যারাট্রুপার বাহিনী এই বিমানে চেপে সহজেই যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে যেতে পারবে এবার। আকাশে নজরদারি থেকে শুরু করে ফৌজ পাঠানো, পণ্য সরবরাহ সহ একাধিক কাজে এই বিমানটি ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, দেশে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে এলেও এই বিমান ব্যবহার করা যাবে। ত্রাণ থেকে ওষুধ পাঠানোর কাজে তখন এটিকে ব্যবহার করা যাবে। ফলে সব দিক থেকেই এই বিমানটি বাংলাদেশের হাতে আসায় তাদের সুবিধা হল।
বাংলাদেশ এখন ভূ কৌশলগত কারণে তাদের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। ওপার বাংলার পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারের যুদ্ধের আঁচ বাংলাদেশের গায়ে এসে লাগছে। সেখানে রোহিঙ্গা এবং মায়ানমার আর্মির মধ্যে যুদ্ধ লেগেছে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ মিলছে, কখনও গোলা বারুদ এসে এপাড়ে পড়ছে। ফলে সব মিলিয়ে একটা আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এই যুদ্ধবিমান বাংলাদেশের হাতে আসায় মনে করা হচ্ছে যে তাদের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল।