এককালে ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ ভাড়াটে সৈনিক গোষ্ঠী ওয়াগনার গ্রুপই এবার রাশিয়ার বড় অংশ দখলে নেওয়ার দাবি করছে। ওয়াগনার গোষ্ঠীর দাবি, তারা রাশিয়ায় অভ্যুত্থানের পথে হেঁটে চলেছে। এদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সদ্য পুতিনের এক সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে। সেখানে পুতিনকে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেনে হামলা নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছেন। নয়া রিপোর্ট দাবি করছে, ওই সাক্ষাৎকার মূলত, ওয়াগনারের অভ্যুত্থানের আগে নেওয়া।
ইউক্রেন ছিন্নভিন্ন করার পথে গত বছরের শুরু থেকে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়েছে রাশিয়া। গোটা ইউক্রেন জুড়ে হয়েছে রক্তস্নান। এদিকে, সদ্য বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, ইউক্রেনে হামলাকারী রাশিয়ার সৈনিকরা আপাতত ধুঁকছেন। আপাতত পুতিনের সেনা সেখানে রণক্লান্ত। এদিকে, খোদ পুতিনের ঘরেই বিপদের মেঘ। যে ওয়াগনার গোষ্ঠী ইউক্রেন হামলায় পুতিনের ডান হাত ছিল, তারাই ঘোষণা করেছে দ্রোহ। ওয়াগনারদের দাবি, তারা রাশিয়ায় অভ্যুত্থান শুরু করছে। এদিকে, ওয়াগনারদের অভ্যুত্থানের মাঝে রুশ টেলিভিশনে পুতিনের এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে ইউক্রেন দমন নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে অনেকের। সেই সাক্ষাৎকারে পুতিনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ আমরা আত্মবিশ্বাসী, আর অবশ্যই আমরা আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা ও কাজ বাস্তবায়িত করার পরিস্থিতিতে রয়েছি।’ দেশের সামরিক শক্তির প্রসঙ্গক্রমে পুতিন বলছেন,'এটি দেশের প্রতিরক্ষার জন্যও প্রযোজ্য। এটা প্রযোজ্য বিশেষ সামরিক অপারেশনে, এটা প্রযোজ্য আর্থিক. সার্বিক ও একক জায়গাগুলিতে।'
রাশিয়ার রোসিয়া স্টেট টেলিভিশনে দেখা গিয়েছে এই সাক্ষাৎকার। এই সাক্ষাৎকার পুতিন দিয়েছেন সাংবাদিক পাভেল জারুবিনকে। জারুবিন বলছেন, পুতিনের সঙ্গে, তাঁর সামরিক বিভাগের কর্তাদের বৈঠকের পর তিনি এই সাক্ষাৎকার নেন। ফলে সেই দিনক্ষণের হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, যে সময় পুতিনের এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সেই সময় ওয়াগনারদের দাবি অনুযায়ী রাশিয়ায় অভ্যুত্থান হয়নি। ফলে ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের এতটা আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ঘটনা বহু আগের কি? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। যে রিপোর্টে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে, সেখানে শনিবার ওয়াগনারদের কোনও অভ্যুত্থানের কথা বলা হচ্ছে না। এদিকে, ওয়াগনার সৈনিকদের দাবি, দেশের দক্ষিণ প্রান্ত দখল করে ধীরে ধীরে মস্কো দখলের পথে তারা এগোচ্ছে।