আজ সকালে হরিয়ানায় বীরেন্দ্র আর্য্য অখড়ায় দেখা গেল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। সেখানেই প্রশিক্ষণ নেন অলিম্পিক পদকজয়ী তারকা কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। সেখানে বজরঙের সঙ্কে কথা বলতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে কুস্তি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন বজরং, সাক্ষী মালিকরা। বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ফেডারেশন প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়েগ বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে সরব বজরংরা। এরই মাঝে সদ্য অনুষ্ঠিত ফেডারেশন নির্বাচনে জয়ী হন ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং। এরপরই বজরং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে গিয়ে পদ্মশ্রী পদক রেখে দিয়ে আসেন। অবসর গ্রহণ করেন সাক্ষী মালিক। সাক্ষীদের সঙ্গে এই আবহে দেখা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর এবার বজরঙের আখড়ায় রাহুল গান্ধী। আর রাহুল-বজরং সাক্ষাতের কিছু পরেই দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে 'ভারত জোড়ো ২.০'-র ঘোষণা করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল। (আরও পড়ুন: আরও দ্রুত ছুটবে বন্দে ভারত, দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পে ৭ লাখ কোটি খরচ করবে রেল)
আরও পড়ুন: শুধু নন-এসি নয়, আসবে এসি অমৃত ভারতও, 'বন্দে সাধারণ' নিয়ে এল বড় আপডেট
এদিকে ফেডারেশনের বিতর্কের মাঝে সম্প্রতি সঞ্জয় সিং এবং বাকি পদাধিকারীদের ফেডারেশন থেকে সাসপেন্ড করে দেয় সরকার। ভারতীয় অলিম্পিক ফেডারেশনকে সরকার নির্দেশ দেয় কুস্তি ফেডারেশন পরিচালনের জন্য অস্থায়ী কমিটি গড়তে। এরই মাঝে বজরংকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি নিজের পদ্মশ্রী পদক ফেরত নেবেন কি না, তাতে বজরং জানিয়েছিলেন, 'পদক চাই না, ন্যায়বিচার চাই।' এই আবহে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কি এই বিতর্ক প্রসঙ্গে কোনও কথা হয়েছে বজরঙের? কী কারণে রাহুল গিয়েছিলেন তাঁর আখড়ায়। বজরং এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'রাহুল গান্ধী দেখতে চেয়েছিলেন একজন কুস্তিগিররের রোজকার জীবন কেমন ভাবে কাটে। তাই তিনি এসেছিলেন এখানে। তিনি এখানে কুস্তিও করেন।'
এদিকে কংগ্রেসের তরফ থেকে আজ ঘোষণা করা হল, 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র ধাঁচে এবার 'ভারত ন্যায় যাত্রা' করবেন রাহুল গান্ধী। ১৪ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে কংগ্রেসের ভারত ন্যায় যাত্রা। মণিপুর থেকে এই যাত্রা শুরু হয়ে শেষ হবে মুম্বইতে। এই পদযাত্রাকালে ১৪টি রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রায় ৬ হাজার ২০০ কিমি পথ হাঁটবেন রাহুল গান্ধী। এই যাত্রাকালে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে যেতে চলেছেন রাহুল। এই যাত্রা প্রসঙ্গে কেসি বেণুগোপাল বলেন, 'এর আগের ভারত জোড়ো যাত্রার অভিজ্ঞতা থেকে এবার এই নতুন যাত্রায় হাঁটবেন রাহুল গান্ধী। এই যাত্রার সময়ে তিনি দেশের যুব প্রজন্ম, মহিলা এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। মণিপুর থেকে শুরু করে নাগাল্যান্ড, অসম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট হয়ে মহারাষ্ট্রে গিয়ে শেষ হবে এই যাত্রা।'