চিনের সঙ্গে ভারতেরও সম্পর্ক সম্প্রতি বেশ তিক্ত। আর এটাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন বাইডেন। নথিতে স্ট্র্যাটেজি হিসাবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
ইন্দো-প্যাসিফিকে বন্ধুত্ব বৃদ্ধিতে জোর, জাতীয় নিরাপত্তা প্ল্যানে ভারতের সঙ্গ লক্ষ্য বাইডেনের
ইন্দো-প্যাসিফিকে বজায় থাকুক শান্তি। আর সেই স্বার্থে প্রয়োজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব স্থাপন। জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনায় এমনই ঘুঁটি সাজিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউজের 'ইন্টেরিম ন্যাশানাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজিক গাইডেন্স' শীর্ষক নথিতে এমনটাই উল্লেখিত। সেখানে বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক ও ইউরোপে শান্তি বজায় রাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইন্দো-প্যাসিফিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ব্যাথার কারণ বলতে চিন। সেই চিনের সঙ্গে ভারতেরও সম্পর্ক সম্প্রতি বেশ তিক্ত। আর এটাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন বাইডেন। নথিতে স্ট্র্যাটেজি হিসাবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক ক্ষেত্রে চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সংঘাত অবশ্য নতুন কিছু নয়। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই এর সূত্রপাত। তারপর ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সময়ে তা পৌঁছয় চরমে। সেই সময়ে ভারতের সঙ্গে চিনের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তবে চিন-বিরোধী জোট হিসাবে শক্তি প্রদর্শন করলেও শিল্পনীতির মতো একাধিক ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতের মিল হয়নি।
শুধু তাই নয়, বুধবারের রিপোর্টে ইউরোপেও শান্তি বজায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। ইউরোপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তার বিষয় নিঃসন্দেহে রাশিয়া। সেখানে আবার রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সামরিক চুক্তি , লেনদেন অস্বস্তি বাড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের।