ফিউচার-রিলায়েন্স সংযুক্তিকণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় পেল ই-কমার্স সংস্থা আমাজন। এর আগে সিঙ্গাপুর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে, ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে রিলায়েন্সের সংযুক্তিকরণের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশকে মান্যতা দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্টও। ফিউচার গ্রুপের ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ রিলায়েন্সকে বিক্রি করার চুক্তি হয়েছিল গতবছর। কিন্তু সেই চুক্তির বিরোধিতা করে ফিউচার গ্রুপের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক আদালতে জরুরি ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে আমাজন। এর আগে এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আমাজন। পরে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আমাজনের সপক্ষেই রায় দেয়।
রিটেল, হোলসেল, লজিস্টিক এবং ওয়্যারহাউজিং ইউনিট রিলায়েন্সকে বিক্রির জন্য চুক্তি করে ফিউচার গ্রুপ। এরপরই ফিউচার গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তারা রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি করার সময় আমাজনের সঙ্গে তাদের পার্টনারশিপ কন্ট্র্যাক্ট ভেঙেছে। সেই প্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলার শুনানি চলাকালীন গত ফেব্রুয়ারিতেও ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে রিলায়েন্সের চুক্তির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের ইমার্জেন্সি আরবিট্রেটার গত অক্টোবরেই এই চুক্তিকে কার্যত নস্যাত্ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট এদিন সেই প্রসঙ্গকে তুলে রায় দেয় এই মামলায়। এদিন আদালতের রায়দানের সময় এই বিষয়ে একাধিক বক্তব্য রাখেন আর এফ নারিমন। বিদেশা কনও দেশের ইমার্জেন্সি আরবিট্রোর ভারতের 'ইন্ডিয়ান আরবিট্রেশন অ্যান্ড কনসিলিয়েশন অ্যাক্ট'-এ ধার্য।
এর আগে দিল্লি কোর্টের অর্ডার এই ইস্যুতে রিজার্ভ রাখে শীর্ষ আদালত। তারপরই এমন বার্তা দেয় তারা। এর আগে এই চুক্তিতে যাতে ছাড়পত্র না দেওয়া হয়, তার জন্য, সেবির কাছেও দরবার করেছে অমাজন। এর আগে ২১ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে ফিউচার-রিলায়েন্স চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নিয়ামক সংস্থাগুলির উপরেই ছেড়ে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এরপর ফিউচার আর্জি করে যে আমাজন নিয়ামক সংস্থাগুলির কাছে নাও যেকে পারে এই চুক্তির বিরুদ্ধে গিয়ে। ফিউচারের সেই আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে।