গতবছরই আগাম মুক্তি পেয়েছে বিলকিস মামলার ১১ অপরাধী। সেই মুক্তির সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। রোজই সেই মামলার শুনানি হচ্ছে। আর বৃহস্পতিতে সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিলকিসের অপরাধীরা সময়মতো তাদের জরিমানাই ভরেনি। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত ২০০০ টাকা করে জরিমানা ধার্য করেছিল। তবে আদালতে পেশ নথি অনুযায়ী, আগাম মুক্তি পাওয়ার এক বছরেরও পরে এই সপ্তাহে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে তাদের জরিমানা জমা দিয়েছে ১১ জন। এই আবহে বিলকিসের প্রশন, জরিমানা সময়মতো জমা না দেওয়ায় তো আপনাআপনি আরও এক বছর জেলে থাকতে হবে। তাহলে কীভাবে আগাম মুক্তি দেওয়া হল তাদের?
এদিকে এর আগে গত ২৮ অগস্ট দুই অপরাধী আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিল জরিমানা জমা দেওয়ার জন্য। তবে সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগেই বাকি ৯ অপরাধীর সঙ্গে সেই দু'জনও জরিমানা জমা দিয়েছে। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এর আগে এই মামলায় সুপ্রিম বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল গুজরাট সরকার। শীর্ষ আদালত সরকারকে প্রশ্ন করেছিল, কেন বেছে বেছে এই ১১ জনের সাজা মুকুব করা হল? প্রসঙ্গত, বিলকিস বানোর গণধর্ষকদের গত ১৫ অগস্ট মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে। অপরাধীদের মুক্তির বিরোধিতায় একাধিক মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। সেই প্রেক্ষিতেই দৈনিক শুনানি হচ্ছে এই মামলার।
এর আগে বিলকিস বানোর অপরাধীদের আগাম মুক্তি নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতে করা এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে অপরাধীদের আগাম মুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই রিট পিটিশনের আগে গুজরাট হাই কোর্টে অপরাধীদের আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছিল। এই আবহে নিয়ম মাফিক, সুপ্রিম কোর্টে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করা যেত। বদলে রিট পিটিশন করা হয়েছিল এবং তা গ্রহণ করেই শীর্ষ আদালতে মামলা চলে। এবং সেই মামলার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে পদক্ষেপ করে অপরাধীদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার।
প্রসঙ্গত, বিলকিস বানোর গণধর্ষকদের গত ১৫ অগস্ট মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে। সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং অন্য একজন আদালতে এই ১১ জনের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে বিলকিসও দাবি করেছিলেন, শীর্ষ আদালতের নিয়ম লঙ্ঘন করে ওই ১১ জন ধর্ষককে ছেড়ে দিয়েছে গুজরাট সরকার।