সুলভ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা বিন্দেশ্বর পাঠক মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি ছিলেন দিল্লি এইমস-এ। ১৫ অগস্ট, মঙ্গলবার সুলভ ইন্টারন্যাশনলের কেন্দ্রীয় অফিসে পতাকা উত্তোলনের সময় তিনি অসুস্থতা বোধ করেন। তখনই তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হয়। এরপর তিনি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হার্ট অ্যাটাকের জেরে মৃত্যু হয়েছে বিন্দেশ্বর পাঠকের। তাঁকে পালমোনারি রেসপিরেশনে রাখার চেষ্টা করা হলেও, শেষমেশ তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেননি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, ‘সুলভ ইন্টারন্যাশনাল’ একটি সমাজ সেবা মূলক সংগঠন। এই সংস্থা মানবাধিকার, পরিবেশের স্বচ্ছ্বতার মতো নানান দিক নিয়ে কাজ করে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বিন্দেশ্বর পাঠকের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মঙ্গলবার, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় আচমকা অসুস্থতা বোধ করেন। তখনই তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে দেখেই জানান, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এরুর সিপিআর শুরু হয়। তবে সেই চিকিৎসায় তিনি সাড়া দিতে পারেননি। এরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিন্দেশ্বর পাঠককে দুপুর ১.৪২ মিনিট নাগাদ আনা হয়েছিল হাসপাতালে। তারা জানিয়েছে, ‘সুলভ ইন্টারন্যাশনাল’ এর প্রতিষ্ঠাতা হাসপাতালে ভর্তি হতেই তিনি যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তা চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, বিন্দেশ্বর পাঠকের জন্ম বিহারে। তিনি সেখানের বৈশালি জেলার রামপুরের বাঘেল গ্রামের সন্তান। এদিকে, ‘সুলভ ইন্টারন্যাশনাল’ এর প্রতিষ্ঠাতা বিন্দেশ্বর বাঘেলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর টুইটে মোদী লেখেন, ‘ ডঃ বিন্দেশ্বর পাঠকজির প্রয়াণ আমাদের দেশের জন্য এক গভীর ক্ষতি। তিনি একজন দূরদর্শী ছিলেন যিনি সামাজিক অগ্রগতি এবং দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করেছিলেন।বিন্দেশ্বরজি একটি পরিচ্ছন্ন ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন। তিনি স্বচ্ছ ভারত মিশনে বিশাল সহায়তা প্রদান করেন। আমাদের বিভিন্ন কথোপকথনের সময়, স্বচ্ছ্বতার প্রতি তাঁর আবেগ সর্বদা দৃশ্যমান ছিল। তাঁর কাজ বেশ কিছু মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।’