এসএসসি দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলার ক্ষেত্রে একেবারে সামনের সারিতে আছেন। এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। সেইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘চোর মাচায়ে শোরের বাস্তবতা প্রমাণিত হল।’
শনিবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রশেখর দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগীর’ ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা ‘লজ্জাজনক’। করদাতাদের টাকা এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য পাঠানো টাকা লুঠ করে নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে চন্দ্রশেখর বলেন, ‘(কেন্দ্রীয়) সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং ভয় দেখাতে যে বিভিন্ন দলগুলি কর্মসূচি চালায়, তার একেবারে সামনের সারিতে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সংস্থাগুলি দুর্নীতি সামনে আনছে।’
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দুর্নীতি মামলায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ সকালে পার্থকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সকাল ১০ টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তারইমধ্যে পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সেই ঘটনার রেশ টেনে শনিবার চন্দ্রশেখর দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে যে লাগামছাড়া দুর্নীতি হচ্ছে, তা প্রমাণিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেই দায়ভার মমতার। বিজেপি নেতা বলেন, ‘এই লোকেরাই তদন্তকারী এজেন্সিকে ভয় দেখানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে। সেটাই আপনাদের মাধ্যমে আমরা ফাঁস করার চেষ্টা করছি। চোর মাচায়ে শোর বলা হয় তো - এটা বাস্তব এখন। গতকাল ২১ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা সেটা যে প্রমাণ করে দিয়েছে, তা দিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’