মধ্য চিনে এক সপ্তাহ আগে একটি ভবন ধসে ৫৩ জন নিহত হয়েছে। চিনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে। উদ্ধারকারীরা ১০ জনকে জীবিত খুঁজে পাওয়ার পর এই ধ্বংসাবশেষের বিশাল স্তূপে নিচে অনুসন্ধান শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়। কর্তৃপক্ষ একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছে যে সকল নিখোঁজদের ভোর রাত ৩টের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি একটি অনলাইন পোস্টে এই খবর নিশ্চিত করেছে।
জানা গিয়েছে, চাংশা শহরের আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলি ২৯ এপ্রিল বিকেলে হঠাৎ করে ধসে পড়ে। ঘটনায় বিল্ডিং কোড উপেক্ষা করা এবং অন্যান্য আইন ও নিয়ম লঙ্ঘন করার সন্দেহে অন্তত নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের বের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর দশম ও শেষ জীবিত ব্যক্তিকে বের করা হয়। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া জীবিত সব ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের সকলের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে জানা গিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ কয়েকটি ভবন ধসেছে। ধসের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নির্মাণ ক্ষেত্রে কাঠামোগত দুর্বলতার দিকগুলি তুলে ধরার জন্য অতিরিক্ত পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই আবহে চাংশা শহরের ধসে যাওয়া বিল্ডিংয়ের মালিক, তিন ডিজাইনার সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে চিনা পুলিশ। বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত ফ্লোর নির্মাণ এবং বিল্ডিংয়ে ভালো লোহার বার ব্যবহার না করায় বারবার চিনে এই ধরনের বিপর্যয় হচ্ছে বলে ধারণা। এই ক্ষেত্রেও এটাই হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।