ছেলে ভাবতেন বাবা হয়তো বাড়িতে তুকতাক করেন। সেটা হাতে নাতে ধরার জন্য় সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন ছেলে। অত্যন্ত গোপনে তিনি এই কাজ করেছিলেন। আর সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়ল তা দেখে তো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এই ঘটনায় বাবা ও ছেলে উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।ওই বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লির ঘটনা।
আসলে ছেলে যে ক্যামেরা বাড়িতে গোপনে রেখে দিয়েছিল তাতেই দেখা গিয়েছে বাবা বাড়িতে ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণ করছেন। এটা দেখেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে পুলিশ ৬৮ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে ওই ভিডিয়ো দেখেই চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল ছেলের। তিনি ওই কিশোরীর বাবাকে সবটা জানান। এরপরই পুলিশ ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে। তবে সেই সঙ্গে আইটি অ্যাক্টেও ছেলের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। অপর এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধেও পুলিশ মামলা করেছে। কারণ সে ওই মেয়েটিকে বলেছিল কাউকে কিছু বলার দরকার নেই।
হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০ ও ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই ঘটনা হয়েছিল। তারা পরস্পরের প্রতিবেশী। তবে অতীতেও ওই মেয়েটিকে যৌন হেনস্থা করত ওই ব্যক্তি। সেদিনও মেয়েটিকে ডেকে আনা হয়েছিল বাড়িতে। এরপর তাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু ওই ব্যক্তি জানতেন না তার ছেলে বাড়িতে গোপনে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে রেখেছে। এদিকে ওই মেয়েটি এতসব কিছুর পরেও বাড়িতে কিছু বলত না। কিন্তু সম্প্রতি তার বাবার কাছে অজানা নম্বর থেকে একটি ভিডিয়ো আসে। আর সেই ভিডিয়ো দেখেই হতবাক তিনি। সেখানে তো তার মেয়ের ছবি।
ভিডিয়ো দেখেই তিনি থানায় ছোটেন। এরপর পকসো আইনে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আসলে বাড়িতে বাবা কী করে এটা জানার জন্য তিনি ভিডিয়ো চেক করছিলেন। তখনই দেখেন বাবা এক কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করছে। পরে তিনি বুঝতে পারেন এই মেয়েটা তো পাশের বাড়িতেই থাকে। এরপরই তিনি ওই ভিডিয়ো মেয়েটির বাবার কাছে পাঠিয়ে দেন।
সূত্রের খবর, অনেক বছর আগে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর মৃত্য়ু হয়েছিল। এরপর তিনি একলাই থাকতেন। তার ছেলেরও বিয়ে হয়নি। কিন্তু বাবাকে সন্দেহ করত ছেলে। সেকারণেই ক্যামেরা লাগিয়েছিল। কিন্তু সেখানেই ধরা পড়ল ভয়াবহ দৃশ্য়।